নারদের ভিডিও প্রকাশের পরে মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে বুধবারই উত্তপ্ত হয়েছিল পুর-অধিবেশন। তুমুল প্রতিবাদে সামিল হন বিরোধী কাউন্সিলরেরা। তাঁদের নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে কয়েক জন তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সোমবার ফের ঘুষ-কাণ্ডের জেরে মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ দেখালেন পুরসভার বাম, কংগ্রেস কর্মী ইউনিয়নের সদস্যরা। ঘণ্টাখানেক চলে মিছিল-স্লোগান। পুরভবনে সাঁটা হয় পোস্টার। পুর-প্রশাসনের কর্মীরা সেগুলি ছিঁড়ে দেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মেয়রের নির্দেশে পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য গত বৃহস্পতিবার থেকে পুরসভায় আসছেন না। বিরোধীদের অভিযোগে আমল দিতে নারাজ মেয়রের কথায়, ‘‘অলীক বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। ভোটের আগে চক্রান্ত করে লাভ নেই।’’
বুধবারের ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন বিরোধীরা। পরে চেয়ারপার্সন মালা রায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তা বাতিল হয়। এ দিন বৈঠকে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি ওঠে। প্রতিবাদে শাসক দলের মুখ্য সচেতক রত্না শূর বলেন, ‘‘এক পক্ষের কথা শুনে কাউকে দোষারোপ করা ঠিক নয়।’’ এ দিন ছিলেন না বুধবারের ঘটনার মূল অভিযোগকারী প্রকাশ উপাধ্যায়। মালাদেবী জানান, প্রকাশবাবু তাঁকে বলেছেন, শহরে না থাকায় আসতে পারবেন না। ঠিক হয়, বুধবারের ঘটনায় জড়িত কাউন্সিলরদের নিয়ে ফের ২৮ মার্চ বৈঠক হবে। সম্মত হন বাম ও বিজেপি।