‘হেনস্থা’, কোর্টে বৃদ্ধ দম্পতি

বাবা-মায়ের অভিযোগ, দুই ছেলের অত্যাচারে তাঁরা এক বছর ধরে বাড়ি ছাড়া। এ-ও অভিযোগ, কলকাতা পুলিশের বড়কর্তা থেকে চিৎপুর থানা, সর্বত্র একাধিক বার অভিযোগ জানানো হলেও, পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়ার আদালতে মামলা দায়ের করেন মা রাণুবালা ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪২
Share:

বাবা-মায়ের অভিযোগ, দুই ছেলের অত্যাচারে তাঁরা এক বছর ধরে বাড়ি ছাড়া। এ-ও অভিযোগ, কলকাতা পুলিশের বড়কর্তা থেকে চিৎপুর থানা, সর্বত্র একাধিক বার অভিযোগ জানানো হলেও, পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়ার আদালতে মামলা দায়ের করেন মা রাণুবালা ঘোষ। মঙ্গলবার মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি পাথেরিয়া নির্দেশ দিয়েছেন, ৭ নভেম্বরের মধ্যে চিৎপুর থানার পুলিশকে জানাতে হবে, তারা ওই মহিলার অভিযোগ পেয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছে।

Advertisement

রাণুবালার আইনজীবী মনোজিৎ ভট্টাচার্য জানান, দমদমের বীরপাড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ মুকুল ঘোষ এবং তাঁর বৃদ্ধা স্ত্রী রাণুবালার চার ছেলে। সেজ ছেলে গণেশ ঘোষ ক্যাটারিং ও হোটেল ব্যবসা করে বাবা-মায়ের দেখভাল করতেন। বাবার দেওয়া জমিতে গণেশ তিনতলা বাড়িও তৈরি করেছেন। সেই বাড়ির তিনতলায় থাকতেন বাবা-মা। বাড়ির দোতলায় থাকেন গণেশ ও তাঁর ভাই লোকনাথ। রাণুবালার অভিযোগ, তাঁর অন্য দুই ছেলে ওই বাড়িতে থাকতেন না। বছর দেড়েক আগে ওই দুই ছেলে হঠাৎই তাঁদের বাড়িতে হাজির হন এবং বাড়ির অংশ পেতে রাণুবালা ও তাঁর স্বামীর উপরে অত্যাচার শুরু করেন। রাণুবালার দাবি, তিনি ওই দুই ছেলেকে মধ্যমগ্রামে জমি দিয়ে বাড়ি তৈরি করে নিতে বলেন। কিন্তু তাঁর প্রস্তাবে ওই দুই ছেলের কেউই রাজি হননি।

আদালতে রাণুবালার অভিযোগ, দুই ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বছর দেড়েক আগে তিনি স্বামীকে নিয়ে বীরপাড়ার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। তাঁদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করার জন্য তিনি পুলিশের কাছে একাধিক বার আবেদন জানিয়েছেন। তাতে লাভ হয়নি।

Advertisement

আইনজীবী মনোজিৎবাবু এ দিন অভিযোগ করেন, রাণুবালা তাঁর পড়শি। দুই ছেলের অত্যাচার থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে বাঁচাতে তিনিও এক দিন এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর উপরেও চড়াও হন রাণুবালার দুই ছেলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন