ফি বৃদ্ধি নিয়ে এ বার বিক্ষোভ দমদমের স্কুলে

অভিভাবকদের একাংশ জানিয়েছেন, মাত্র কয়েক দিন আগে ফি বৃদ্ধির বিষয়টি তাঁরা জানতে পারেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯ ০০:৪৬
Share:

দমদমের সেন্ট স্টিফেনস স্কুল।—ফাইল চিত্র।

স্কুলের মাসিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার বিক্ষোভ দেখালেন দমদম সেন্ট স্টিফেন্স স্কুলের জুনিয়র বিভাগের অভিভাবকেরা। এ দিন দুপুরে প্রায় পাঁচশো জন অভিভাবক ঘণ্টাখানেক ধরে প্রথমে স্কুলের গেটের সামনে এবং পরে প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, অন্য বারের তুলনায় এ বছর স্কুলের মাসিক ফি বাড়ানো হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। কিন্তু ঠিক কেন এত পরিমাণ ফি বৃদ্ধি, তার সদুত্তর দিতে পারছেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল সুদীপ্ত বিকাশ দাস বলেন, ‘‘প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, আগামী ২৫ মার্চ তিনি অভিভাবকদের সমস্ত অভিযোগ শুনবেন। তার পরে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

অভিভাবকদের একাংশ জানিয়েছেন, মাত্র কয়েক দিন আগে ফি বৃদ্ধির বিষয়টি তাঁরা জানতে পারেন। এ দিন ছিল স্কুলের ছাত্রদের পরীক্ষার খাতা দেখানোর দিন। তাই এ দিনই ফি বৃদ্ধি নিয়ে স্কুলের প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলবেন বলে স্থির করেন অভিভাবকেরা। কিন্তু প্রিন্সিপাল কথা বলতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। তখনই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা।

পডু়য়াদের অভিভাবকদের অভিযোগ, নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি ক্লাসে ২৫ শতাংশ ফি বাড়ানো হয়েছে, যা অন্যবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তৃতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়ার মা বলেন, ‘‘ডেভেলপমেন্ট ফি, টিউশন ফি সব মিলিয়ে ২৫ শতাংশ ফি বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু স্কুলের সারা বছরে উন্নয়ন বলতে কিছুই হয়নি। ক্লাসে বেঞ্চের সংখ্যা কম। ফ্যানের সংখ্যা কম। শৌচাগার নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। তা হলে কিসের জন্য এতটা ফি বাড়ানো হল?’’

Advertisement

অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, গত বছর স্কুল থেকে কয়েক হাজার টাকার বই কিনতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সারা বছরে সেই বইগুলি পড়ানোই হয়নি ক্লাসে। দ্বিতীয় শ্রেণির এক অভিভাবক বলেন, ‘‘প্রায় চার হাজার টাকার বই কেনানো হয়েছিল। বইগুলোর কারণে স্কুলের ব্যাগটাও খুব ভারী হয়ে যেত। রোজ ওই বইগুলো নিয়ে বাচ্চাদের স্কুলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে হত। কিন্তু সব বই পড়ানোই হল না।’’

অভিভাবকদের না জানিয়ে বর্ষার জন্য আগে স্কুলে ছুটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে মাস খানেক আগে বিভ্রান্তি ছড়ায় এই স্কুলেরই জুনিয়র বিভাগে। তখনও অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এ দিন ফের বিক্ষোভ হলেও প্রিন্সিপাল অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন