লেক মলের কাছে দুর্ঘটনায় গাড়িটির ‘এয়ারব্যাগ’ কাজ না করার অভিযোগ তুলেছে জখম অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার। এ নিয়ে শনিবার রাত পর্যন্ত ওই গাড়ি সংস্থার প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এয়ারব্যাগের বিষয়টি কতগুলি শর্তের উপরে নির্ভরশীল।
বিক্রমের বাবা বিজয় চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘পাঁচটি এয়ারব্যাগের একটিও খোলেনি।’’ তিনি জানান, ওই গাড়িটি কয়েক মাস আগেই কেনা হয়। একই প্রশ্ন তুলে অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাও বলেন, ‘‘কেন এয়ারব্যাগ কাজ করেনি, তা খতিয়ে দেখা দরকার।’’
দুর্ঘটনা থেকে যাত্রীদের বাঁচাতে গাড়িতে এয়ারব্যাগ থাকে। নির্দিষ্ট অভিঘাতের ধাক্কায় তৎক্ষণাৎ এয়ারব্যাগ খুলে যায়। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এয়ারব্যাগ কখন খুলবে, তা নির্ভর করে কিছু শর্তের উপরে। যাত্রীরা ‘সিট বেল্ট’ না পরলে তা খোলে না। আবার গাড়ির সামনের দিকেই ধাক্কা লাগে বলে সেখানকার ‘সেন্সর’ এয়ারব্যাগ চালুর বার্তা পাঠায় সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ইউনিটে। অন্য জায়গায় ধাক্কা মারলে সে বার্তা যায় না। গাড়ি কত জোরে বা কোথায় ধাক্কা মারছে, তা-ও গুরুত্বপূর্ণ। সিট বেল্ট পরলে গাড়ি উল্টোলেও ছিটকে পড়ার আশঙ্কা কম থাকে। তাই এয়ারব্যাগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে শর্ত মানা হয়েছে কি না, দেখা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু মডেলের, জখম অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়