Shovan Chatterjee Ratna Chatterjee Divorce Case

শোভনের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা খারিজ, খারিজ রত্নার একত্রবাসের আর্জিও, তবু দু’হাত বাড়িয়ে পুত্র ঋষি বললেন, ‘কামব্যাক পাপা’!

শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শোভনের হয়ে শেষ পর্বে সওয়াল করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। হাই কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিল সেই মামলা। পরে তা ফিরে আসে নিম্ন আদালতে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৫ ১৫:২৩
Share:

(বাঁ দিক থেকে) রত্না চট্টোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করতে চেয়ে মামলা করেছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। আট বছর ধরে আলিপুর আদালতে সেই মামলা চলার পরে শুক্রবার তা খারিজ করে দিলেন বিচারক। রত্না পাল্টা শোভনের সঙ্গে একত্রবাসের আর্জি জানিয়েছিলেন আদালতে। বিচারক তা-ও খারিজ করে দিয়েছেন।

Advertisement

অর্থাৎ, শোভন বিবাহবিচ্ছিন্ন হলেন না। আবার রত্নাও তাঁর স্বামীর সঙ্গে একত্রবাসের সুযোগ পেলেন না। ফলে শোভনের জীবনে স্থিতাবস্থা বজায় রইল। তিনি ‘বান্ধবী’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যেমন থাকেন, তেমনই থাকতে পারবেন। তবে রত্নার নাম থাকবে শোভনের আইনত স্ত্রী হিসাবেই।

আদালতের রায়কে নিজের জয় হিসাবেই দেখছেন বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না। কোর্টচত্বরে দাঁড়িয়ে রত্না বলেন, ‘‘আট বছর ধরে যে লড়াই করেছিলাম তার জয় হল। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলাদের অনেক সময়েই ক্ষমতার কাছে হেরে যেতে হয়। আমি সব নারীর হয়ে সেই জয় পেয়েছি।’’ রত্না এই জয়কে ব্যক্তিগত পরিসর থেকে সামাজিক বৃত্তে এনে ফেলেছেন। রায় ঘোষণার পর অবশ্য শোভনের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Advertisement

রায়ের পরে খুশি শোভন-রত্নার পুত্র ঋষি চট্টোপাধ্যায়ও। তিনিও মায়ের জয়কে বাংলা তথা গোটা দেশের ‘নিপীড়িত’ মহিলাদের জয় হিসাবেই তুলে ধরতে চেয়েছেন। বাবার উদ্দেশে ঋষি বলেন, ‘‘প্লিজ পাপা, কামব্যাক পাপা। নাথিং ইজ টু লেট। উই উইল ফিক্স ইট (বাবা তুমি ফিরে এসো। এখনও দেরি হয়ে যায়নি। আমরা সবটা ঠিক করে নেব)।’’ ট্যাটু ভরা দু’হাত বাড়িয়ে বাবার উদ্দেশে গোলপার্ক থেকে পর্ণশ্রীতে (বৈশাখীর আবাসন থেকে নিজেদের বাড়ি) ফেরার আবেদন জানান ঋষি।

শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা গত আট বছরে নানা বাঁক পেরিয়েছে। আদালতে শুনানি থাকলে শোভনের সঙ্গে যেতেন বৈশাখীও। দু’জনকেই দেখা যেত রং মিলিয়ে পোশাক পরেছেন। আর রত্না যেতেন তাঁর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে নিয়ে। শোভনের তরফে একবার এমনও অভিযোগ তোলা হয়েছিল, রত্না বেহালার কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের এনে হুমকি দিয়েছেন। পাল্টা রত্না বলেছিলেন, ‘‘পাগলেও এ কথা বিশ্বাস করবে না।’’

শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শোভনের হয়ে শেষ পর্বে সওয়াল করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। হাই কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিল সেই মামলা। পরে তা ফিরে আসে নিম্ন আদালতে। শেষ পর্যন্ত বিবাহবন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারলেন না মন্ত্রিসভা ছেড়ে গোলপার্কে চলে যাওয়া শোভন। রায়ের পরে রত্না ফিরেছেন পর্ণশ্রীর বাড়িতে। শোভন কি পুত্রের ডাকে সাড়া দেবেন?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement