ক্যাম্পাস সংস্কারের পরে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যত্রতত্র পোস্টার, ব্যানার লাগানোয় আপত্তি জানালেও ছাত্রভোটের সময়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা রাখছেন না। শুধু আগামী ২০ জানুয়ারি, রাষ্ট্রপতি আসার দিনে ওই পোস্টার, ব্যানার অন্যত্র সরিয়ে রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রেসিডেন্সিতে ছাত্রভোট হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি। গত সোমবার এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার বলেন, ‘‘ছাত্র সংসদ নির্বাচনে পড়ুয়ারা প্রচার করবে। সেই সুযোগ তো তাদের দিতে হবে। শুধু রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় যে দিন আসবেন, সে দিন পোস্টার, হোর্ডিং অন্য কোথাও সরিয়ে রাখা হবে।’’ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানাননি পড়ুয়ারা।
গত কয়েক মাস ধরেই প্রেসিডেন্সির বিভিন্ন ভবনে দেওয়াল লিখন, পোস্টার সাঁটা নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে বারবার কর্তৃপক্ষের সংঘাত হয়েছে। এর মধ্যে চলছে ২০০ বছর পূর্তির উৎসব। তাই ছাত্রদের মধ্যেও ভোটের আগে প্রচার কী ভাবে হবে, তা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনকে ডেকে পোস্টার, ব্যানার লাগাতে পারবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এসএফআইয়ের পক্ষে অর্কপ্রভ মুখোপাধ্যায় এ দিন জানান, কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। ইন্ডিপেন্ডেন্টস কনসোলিডেশনের প্রান্তিক বসু জানিয়েছেন, তাঁরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার চলতি শিক্ষাবর্ষে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। সব বিশ্ববিদ্যালয় অনেক আগে থেকে তার প্রস্তুতি নিলেও প্রেসিডেন্সি প্রথমে নেয়নি। কারণ হিসাবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন ২০০ বছর পূর্তির উৎসব নিয়ে ব্যস্ততার জন্য নির্বাচন কবে হবে তা স্থির করা যাচ্ছে না।
এরই মধ্যে গত সপ্তাহে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে ছাত্রভোটের দাবিতে রাতভর অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। কতৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, ২০ জানুয়ারি উৎসব শেষে ছাত্রভোটের সিদ্ধান্ত হবে। প্রেসিডেন্সি সূত্রের খবর, নিয়মানুযায়ী ছাত্রভোট করতে গেলে ২১ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হয়। তাই তড়িঘড়ি সোমবার নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। অনলাইনে মনোনয়ন পত্র তোলা এবং জমা দেওয়া যাবে। নির্বাচনের আগে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে গত কয়েক বছরের মতো বিতর্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে ২৫ জানুয়ারি।