প্রতীকী ছবি।
এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠল একটি অনলাইন বিপণির সঙ্গে যুক্ত ডেলিভারি সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, যাদবপুর থানা এলাকার প্রিন্স গোলাম হোসেন শাহ রোডের একটি আবাসনে চড়াও হয়ে ওই কলেজ পড়ুয়াকে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ওই আবাসনের তিন তলার বাসিন্দা আয়ুষ বসু একটি বিদেশি কোম্পানি থেকে অনলাইনে টি-শার্ট কেনেন। তার দাম অনলাইনে দিয়েছিলেন। সোমবার তপসিয়ার একটি ডেলিভারি সংস্থার দুই কর্মী আয়ুষকে ওই টি-শার্ট দিতে আসেন। মাপের হেরফের থাকায় টি-শার্টটি নিতে অস্বীকার করেন আয়ুষ। ওই দুই কর্মীর সঙ্গে তাঁর বচসাও হয়। দুপুর আড়াইটে নাগাদ ওই দুই কর্মী আবাসন থেকে চলে যান।
অভিযোগ বিকেল ৫টা নাগাদ প্রায় ১০-১২ জন ছেলেকে নিয়ে ওই দু’জন ফের আবাসনে ফিরে আসেন। এর পরে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করা হয়। চেঁচামেচি শুনে আয়ুষ নেমে এলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ছেলেকে মার খেতে দেখে নেমে আসেন আয়ুষের মা নিশা বসু। অভিযোগ, ওই যুবকেরা নিশাকেও মারধর করে। রক্তাক্ত অবস্থায় আয়ুষকে যাদবপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আয়ুষের বাবা সঞ্জয় বসুর অভিযোগ, ‘‘আয়ুষের অর্ধেক কিডনি নিষ্ক্রিয়। তার উপরে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। হাতে সাতটি সেলাই পড়েছে। সারা শরীরে অজস্র ক্ষত।’’
সোমবার রাতেই যাদবপুর থানায় ওই যুবকদের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন আয়ুষের মা নিশা বসু। যাদবপুর থানা সূত্রে খবর, ওই ডেলিভারি সংস্থার দুই কর্মীর তরফেও আয়ুষ ও নিশাদেবীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।