Jadavpur University

উৎকর্ষ পথে যাদবপুরের পাশে প্রাক্তনীরা

উৎকর্ষ সাধনের ব্রতে নানা ভাবে পাশে থাকছেন প্রাক্তনীরা। যাদবপুরের সাম্প্রতিক কিছু সাফল্যে সেটাই পরিষ্কার হল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ০৯:৩৭
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

সরকারি আনুকূল‍্যের অভাব এবং বেহাল আর্থিক সঙ্গতির দিনকালেও পিছপা নয় যাদবপুরবিশ্ববিদ্যালয়। উৎকর্ষ সাধনের ব্রতে নানা ভাবে পাশে থাকছেন প্রাক্তনীরা। যাদবপুরের সাম্প্রতিক কিছু সাফল্যে সেটাই পরিষ্কার হল। চন্দ্রাভিযানের পরে চালু ইসরোর রোভারচ‍্যালেঞ্জে সম্প্রতি চমকপ্রদ সাফল‍্য পেয়েছেন যাদবপুরের মেকাট্রনিক্স ক্লাবের সদস্য, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যঅমিতাভ দত্ত বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরাপ্রকল্পটির পুঁজির সংস্থানে অপরিহার্য সাহায‍্য করেছেন। একই সঙ্গে, বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এবং ড্রোন ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার অধীনে নিডার ২০২৫এবং স্পেস রোবোটিক্স সোসাইটির ইন্টারন্যাশনাল রোবোটিক্স চ‍্যালেঞ্জের প্রস্তুতিরও পাশে তাঁরা আছেন। প্রাক্তনীরা একই সঙ্গে আর্থিক সহায়তা এবং প্রকল্প রূপায়ণের পরামর্শ দিচ্ছেন।”

যাদবপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ‍্যাপক দীপঙ্কর সান‍্যাল জানান,ইসরোর প্রতিযোগিতার জন‍্য চাঁদের মাটির আদলে একটি স্তর তৈরি করে তাতে রোভার চলাচলের বন্দোবস্ত করে তাক লাগিয়েছেন ছাত্রেরা। দেশের ১০০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দল নাম নথিভুক্ত করেছিল।চূড়ান্ত পর্বে টিকে থাকে ২৭৩টি দল। যাদবপুরের দলটি পঞ্চম হয়েছে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ‍্যে যাদবপুরের উপরে রয়েছে একমাত্র চেন্নাই আইআইটি।

দীপঙ্করের কথায়, “গত লোকসভা ভোটের সময়ে ঝড়, বৃষ্টিতেদুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় যাদবপুরের রোভার চালনার উপস্থাপনায় প্রবল সমস‍্যা হয়। তবুছাত্রদের দক্ষতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতাই শেষ কথা বলে। চূড়ান্ত পর্বেও সবার আগে ডাক পড়েছিলযাদবপুরের। তাতে পরিস্থিতিগত কিছু সমস‍্যায় যাদবপুরকে পড়তে হয়। পরে আসা প্রতিযোগীদের তাতে ভুগতে হয়নি। তবু হতাশ করেনি যাদবপুর।” এই প্রকল্পটি কার্যকরকরার ব‍্যয়ভার বহনে ১৯৮৪-র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ব‍্যাচ এবং আমেরিকাবাসী স্নায়ু-শল‍্য চিকিৎসক দেবাশিস হাজরাযথেষ্ট অবদান রাখেন। পরিণামে পাঁচ লক্ষ টাকার পুরস্কার জিতেছে যাদবপুর।

এর পাশাপাশি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক স্তরে পরীক্ষাগার এবং বিভাগীয়গ্রন্থাগারে আরএফআইডি প্রযুক্তিতে বই সরবরাহের মতো প্রকল্পে ১৯৮৭ সালের প্রাক্তনী, এখন আমেরিকাবাসী দীপক ঘোষ বিপুল আর্থিকসাহায‍্যের অবদান রেখেছেন বলে জানান ওই বিভাগের অধ্যাপক মেহেবুব রহমান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন