বাঁশদ্রোণীতে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু

স্ত্রীর সঙ্গে বচসা চলাকালীন একটি বঁটি নিয়ে তেড়ে গিয়েছিলেন স্বামী। মেয়েকে বাঁচাতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন শ্বশুর। কিছুক্ষণ ধ্বস্তাধস্তির পর দেখা গেল মেঝেতে লুটিয়ে পড়েছে স্বামীর দেহ। শনিবার রাতে বাঁশদ্রোণীর ঘটনা। তবে এটি খুন কি না তা নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে ধন্দ রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৫ ১৬:২০
Share:

স্ত্রীর সঙ্গে বচসা চলাকালীন একটি বঁটি নিয়ে তেড়ে গিয়েছিলেন স্বামী। মেয়েকে বাঁচাতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন শ্বশুর। কিছুক্ষণ ধ্বস্তাধস্তির পর দেখা গেল মেঝেতে লুটিয়ে পড়েছে স্বামীর দেহ। শনিবার রাতে বাঁশদ্রোণীর ঘটনা। তবে এটি খুন কি না তা নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে ধন্দ রয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সত্যজিৎ জয় (৪০)। তাঁর বাড়ি বাঁশদ্রোণী থানার নবপল্লি এলাকায়। দীর্ঘ দিন ধরে সত্যজিতের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ঋতা জয়ের পারিবারিক অশান্তি লেগে থাকত। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত সত্যজিৎ কোনও কাজকর্ম করত না। দিনের বেশিরভাগ সময় নেশা করে থাকত। ওই দম্পতির দুই ছেলে।

ঠিক কী ঘটেছিল?

Advertisement

শনিবার দুপুরে মেয়ের খোঁজখবর নিতে তাঁকে ফোন করেছিলেন ঋতা জয়ের বাবা ধীরেন বারুই। ফোনে মেয়ে জানায়, স্বামী তাঁর উপর খুব অত্যাচার করেছে। খবর পেয়ে গত রাতেই মেয়ের কাছে চলে যান তিনি। এ দিন পুলিশকে মৃতের শ্বশুর জানিয়েছেন, শনিবার রাত ১১টা নাগাদ বঁটি নিয়ে তাঁর মেয়ের দিকে ছুটে আসে জামাই সত্যজিৎ। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে সত্যজিতের সামনে রুখে দাঁড়ান তিনি। সেই সময় তাঁর হাত থেকেই ধারালো বঁটি ছিটকে যায়। বঁটির আঘাত গলায় আঘাত লেগে সত্যজিতের মৃত্যু হয় বলে দাবি মৃতের স্ত্রী ও শ্বশুরের।

বাঁশদ্রোণীর নতুনবাজার এলাকায় নবপল্লিতে একটি তিনতলার ফ্ল্যাটে মৃত সত্যজিতের পরিবার থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মদ্যপ অবস্থায় সত্যজিতের সঙ্গে প্রায়শই তাঁর স্ত্রীর ঝামেলা লেগে থাকত। তাঁর স্বামী সম্পর্কে মৃতের স্ত্রী ঋতা জয় বলেন, ‘‘প্রায়ই মদ্যপান করত। দু’টি ছেলে বড় হচ্ছে। কিন্তু কোনও কাজ করত না। অনেক শোধরানোর চেষ্টা করেও কোনও কাজ হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন