—প্রতীকী চিত্র।
বড়বাজারের এক গেস্ট হাউসের (অতিথিশালা) ঘর থেকে এক যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ওই গেস্ট হাউসের সহকারী ম্যানেজারের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বড়বাজার থানার পুলিশ। যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। কী কারণে বা কী ভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ বড়বাজার থানায় ফোন করেন তিলক সাউ নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে বড়বাজার এলাকার একটি গেস্ট হাউসের সহকারী ম্যানেজার হিসাবে পরিচয় দেন। জানান, ওই গেস্ট হাউসের চার তলার একটি ঘরের মেঝেতে এক আবাসিক অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। মেঝেতে বমি এবং রক্তও পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
খবর পাওয়ামাত্রই ক্যানিং স্ট্রিটের ওই গেস্ট হাউসে পৌঁছোয় বড়বাজার থানার পুলিশ। যুবককে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম পবনকুমার দাস। বাড়ি জলপাইগুড়ির মালবাজার থানা এলাকার বেতাই গোলেবাজারে। মঙ্গলবারই তিনি ওই গেস্ট হাউসে ঘর ভাড়া নেন। তবে কেন কলকাতায় এসেছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতের শরীরে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়নি। মৃতের ভাইকে খবর দেওয়া হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, তার রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।