Dengue Death In Kolkata

শহরে ফের প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি, মৃত্যু বেহালার যুবকের

জানা গিয়েছে, মৃত অরিজিৎ দাসের বাড়ি কলকাতা পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বেহালার গাবতলায়। গত ৮ অগস্ট তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। কিন্তু কোনও ভাবেই জ্বর না কমায় ১১ অগস্ট স্থানীয় পরীক্ষা কেন্দ্রে ডেঙ্গির পরীক্ষা করান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৫ ০৪:৩১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কলকাতায়। দিনকয়েক আগে মশাবাহিত এই রোগে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছিল। এ বার বছর পঁয়ত্রিশের এক যুবক মারা গিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, বেহালার বাসিন্দা ওই যুবক স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে (এসটিএম) চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান।

জানা গিয়েছে, মৃত অরিজিৎ দাসের বাড়ি কলকাতা পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বেহালার গাবতলায়। গত ৮ অগস্ট তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। কিন্তু কোনও ভাবেই জ্বর না কমায় ১১ অগস্ট স্থানীয় পরীক্ষা কেন্দ্রে ডেঙ্গির পরীক্ষা করান। রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। ওই দিনই তাঁকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরের দিনই তাঁকে এসটিএমে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেখানে দু’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে ১৪ অগস্ট তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, অরিজিৎ জিনিসপত্র ডেলিভারির কাজ করতেন। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি রত্না চট্টোপাধ্যায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ওই যুবকের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি, তিনি দাবি করেছেন, ওই যুবক দীর্ঘদিন ধরে কিডনির অসুখ ও জন্ডিসে ভুগছিলেন।

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বর্ষার মরসুম শুরু হতেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে ডেঙ্গি। সঙ্কটজনক অবস্থায় অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। যদিও রাজ্যে ঠিক কত জন এ পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন, তার কোনও তথ্যই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সরকারি ভাবে জানানো হয়নি। এমনকি, চলতি বছরের কোনও তথ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ‘ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজ়িজ় কন্ট্রোল’-এর পোর্টালেও নেই। তবে, স্বাস্থ্যদফতরের অন্দরের খবর, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ১২ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সর্বাধিক, এক লক্ষেরও বেশি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রোগীর প্রকৃত সংখ্যানথিভুক্ত না হওয়ায় এই রোগের প্রকৃত চিত্র বোঝা যাচ্ছে না। ডেঙ্গির মতো সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রেই প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা জনস্বাস্থ্যের নিরিখে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাতে বোঝা যায়, ওই রোগ কতটা ছড়িয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, অনেক ক্ষেত্রে দেরিতে চিকিৎসা শুরু করায় আক্রান্তের অবস্থা দ্রুত সঙ্কটজনক হচ্ছে।

শেষ কয়েক দিনের মধ্যে খাস কলকাতাতেই দু’জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলল। যদিও কলকাতা পুরসভার দাবি, প্রতিটি ওয়ার্ডে মশাবাহিত এই রোগ প্রতিরোধে কর্মসূচি চলছে। কলকাতা-সহ রাজ্যের মোট ১৬টি জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি বলেও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন