প্রতীকী ছবি।
গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার বদলে ভুল রাস্তা ধরে এক তরুণীকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এক অ্যাপ-ক্যাব চালককে গ্রেফতার করল ট্যাংরা থানার পুলিশ। ধৃতের নাম কেশবপ্রসাদ সিংহ।
অভিযোগ, এক তরুণীকে বাড়ি পৌঁছনোর নামে সম্পূর্ণ উল্টো পথে গাড়ি ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন ওই চালক। ওই তরুণী প্রতিবাদ করে অন্য রাস্তা ধরতে বললেও চালক তাতে কান দেননি বলে অভিযোগ। উল্টে অলিগলিতে গাড়ি ঢুকিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট তাঁকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন ওই চালক। ভয় পেয়ে চলন্ত গাড়ি থেকেই কোনও ভাবে নেমে পড়েন ওই তরুণী। তাঁর চেঁচামেচিতে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই চালককে। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ট্যাংরা থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার বিকেল সওয়া ৫টা নাগাদ শ্যামবাজার থেকে ফিরছিলেন গোবরা রোডের বাসিন্দা, বছর ২২-এর ওই তরুণী। অভিযোগ, শ্যামবাজার থেকে তিনি একটি অ্যাপ-ক্যাবের ‘শেয়ার রাইড’ বুক করেন। তাঁর সঙ্গে ওই গাড়িতে ফড়িয়াপুকুর এবং বিধান সরণির দুই সহযাত্রী ছিলেন। তরুণী বসেছিলেন চালকের পাশের আসনে।
তরুণীর অভিযোগ, ওই দুই যাত্রীকে তাঁদের গন্তব্যে নামিয়ে দেওয়ার পরে শিয়ালদহের কাছে এসে চালক জানতে চান, তরুণী ট্যাংরায় যাবেন কি না? ওই তরুণী বলেন, ‘‘আমি চালককে বলি ‘লোকেশন’ তো দেওয়া রয়েছে।’’ কিন্তু অভিযোগ, এর পরে চালক সহজ রাস্তা না ধরে ডি সি দে রোড ধরেন। তখনই প্রতিবাদ করেন তরুণী। তিনি মৌলালি দিয়ে নিয়ে যেতে বললেও চালক শোনেননি বলে অভিযোগ। উল্টে আরও তিনি আরও গলিতে গাড়ি ঢুকিয়ে দেন। ভয় পেয়ে তিনি কান্নাকাটি করলেও ওই চালক গাড়ি থামাননি বলে অভিযোগ তরুণীর। এর পরেই ওই তরুণী চালকের মোবাইলটি তুলে নিয়ে জানালার কাচে বারবার আঘাত করতে থাকেন। নিজের মোবাইল বাঁচাতে এর পরে চালক গাড়ির গতি কমিয়ে দিলে ওই তরুণী গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তিনি নেমেই চিৎকার শুরু করে দেন। সন্ধ্যার মুখে একা এক তরুণীকে চিৎকার করতে দেখে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তরুণীর কাছ থেকে সব কথা জানার পরে তাঁরাই ওই চালককে ধরে ট্যাংরা থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে চালককে গ্রেফতার করে এবং ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।
পরে তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চালকের বিরুদ্ধে একটি অপহরণের মামলা রুজু করে পুলিশ। রবিবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয় ধৃতকে। কেশবপ্রসাদের আইনজীবী অসীম কুমার অবশ্য জানিয়েছেন, ওই চালক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অ্যাপ-ক্যাবে ‘শেয়ার রাইড’-এর জন্য যে রুট ঠিক করা থাকে, তা ধরেই কেশবপ্রসাদ সংশ্লিষ্ট রাস্তায় গাড়ি ঢুকিয়েছিলেন।