#আমিও ঝড়ে নড়ে বসল কলকাতা পুলিশও

বিশ্বের তাবড় তাবড় তারকা, অভিনেত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মরত মহিলা, কলেজ ছাত্রী সকলেরই ফেসবুক কিংবা টুইটারের দেওয়ালে জ্বলজ্বল করছে এই দু’টি শব্দ। আর কোনও ‘ট্যাবু’ নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৩২
Share:

‘মি টু’-র ঝড়ে এ বার কলকাতা পুলিশও!

Advertisement

বিশ্বের তাবড় তাবড় তারকা, অভিনেত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মরত মহিলা, কলেজ ছাত্রী সকলেরই ফেসবুক কিংবা টুইটারের দেওয়ালে জ্বলজ্বল করছে এই দু’টি শব্দ। আর কোনও ‘ট্যাবু’ নয়। প্রকাশ্যে জানানো যে জীবনের কোনও না কোনও সময়ে তাঁরা পুরুষের হাতে যৌন হেনস্থা বা নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। আর সেই তালিকায় রয়েছেন কলকাতার একাধিক মহিলাও। আর সেই তালিকা দেখেই কলকাতা পুলিশ মঙ্গলবার তাদের ওয়েবসাইটে জানাল, মহিলাদের পাশে তারা সব সময়ে রয়েছে। কোনও রকম যৌন হেনস্থা কিংবা নিগ্রহের শিকার হলে ভয় না পেয়ে মহিলারা যেন পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

শুধু তাই নয়। অভিযোগ পাওয়া মাত্র পুলিশ ব্যবস্থা নেবে এবং মহিলাকে সব রকম নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছে ওই পোস্টে। এ দিন কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সোমবার এবং মঙ্গলবার টুইটার ও ফেসবুকের দেওয়ালে এত সংখ্যক ‘মি টু’-র হ্যাশট্যাগ হয়েছে যা দেখে বোঝা যাচ্ছে কত সংখ্যক মহিলা রোজ যৌন নিগ্রহের শিকার হন! তবে কলকাতা পুলিশের থানার অধীনে থাকা মহিলারা এটুকু আশ্বস্ত থাকতে পারেন যে কলকাতা পুলিশ সব সময়ে মহিলাদের পাশে রয়েছে। যে কোনও সময়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে মহিলারা ভয় না পেয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করুন।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত মার্কিন এক অভিনেত্রী অ্যালিসা মিলানোর টুইটারে লেখা ‘মি টু’-র মাধ্যমে। যেখানে তিনি তাঁর এক বন্ধুর কাছে জেনে টুইটারে লেখেন, ‘‘যে সব মহিলা যৌন হেনস্থা বা নির্যাতনের শিকার, তাঁরা সবাই যদি স্ট্যাটাসে মি টু লেখেন তা হলে বোঝা যাবে সমস্যার শিকড় কত গভীরে।’’ এর পরেই হ্যাশট্যাগে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই ‘মি টু’। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি কলকাতাবাসী মহিলারাও ‘মি টু’ শব্দ দু’টিকে হ্যাশট্যাগ করে চলেছেন।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে পথে-ঘাটে যাতায়াতের পথে, এমনকী ঘরেও বহু মেয়েকে যৌন হেনস্থা কিংবা যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হয়, অনেকে আবার এক বার নয়, ছোটবেলা থেকে শুরু করে এখনও কোনও না কোনও ভাবে যৌন হেনস্থার শিকার হয়ে চলেছেন। সেখানে তিনি কত বারই বা পুলিশের দ্বারস্থ হবেন আর পুলিশই বা কত বার ব্যবস্থা নেবে?

এর উত্তর অবশ্য কিছুটা হলেও পুলিশের ওয়েবসাইটেই দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মেয়েদের যৌন হেনস্থার হাত থেকে বাঁচাতে ছেলেদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। আর সেই লক্ষ্যে কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই ছেলেদের স্কুলে ‘ডিয়ার বয়েজ’ নামে একটা প্রোজেক্ট শুরু করেছে যেখানে তাদের সচেতন করা হচ্ছে এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদে মেয়েদের পাশে থাকতে। ১০টি স্কুলে এই প্রোজেক্টের মাধ্যমে সচেতনতার কাজ শুরু হয়েছে যা নভেম্বরের মাঝে দ্বিতীয় ধাপে করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন