মোবাইল-সমস্যার মীমাংসা হল শেষ পর্যন্ত।
মামুলি একটি মোবাইল ফোনের সন্ধানে রাজ্যের একাধিক জায়গায় চিঠি দিয়ে অনুরোধ, আবেদন করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শেষমেশ হেস্টিংস থানার মালখানায় প্রায় দু’বছর ধরে পড়ে থাকা মোবাইল ফোনটি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে এসেছে। জাল নোটের একটি মামলায় অভিযুক্ত, দুই পলাতক বাংলাদেশির সন্ধান পেতে মোবাইলটি এবং তার সঙ্গে থাকা দু’টি সিমকার্ড সহায়ক হবে বলে এনআইএ আশা করছে।
এনআইএ-র একটি মামলায় অভিযুক্ত, নিষ্ফল মণ্ডল নামে এক বিচারাধীন বন্দি প্রেসিডেন্সি জেলে বসে ওই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে জাল নোট চক্রের কারবার চালাচ্ছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের। মালদহের নিষ্ফল ছাড়াও দুই বাংলাদেশি, মোজাম্মেল ও দিলওয়ার পলাতক।
প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার ও রাজ্যের এডিজি (কারা)-কে চিঠি লিখেও মোবাইল না পেয়ে ২৮ অগস্ট আদালতের দ্বারস্থ হয় এনআইএ। মঙ্গলবার কলকাতার এনআইএ আদালতে আবেদনের শুনানি ছিল।
এ দিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের গাফিলতির একটি তথ্য উঠে এসেছে। হেস্টিংস থানার এক সাব-ইনস্পেক্টর আদালতকে জানান, তাঁদের কাছে যে ওই মোবাইল ফোন ও আনুষঙ্গিক নথিপত্র আছে, সেটা ই-মেল করে এনআইএ-র আইজি-কে জানানোর পরেও ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে মোবাইল নিতে কেউ থানায় আসেননি। এনআইএ-র আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ৪ সেপ্টেম্বর মোবাইলটি ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পরেই হেস্টিংস থানা ই-মেল করে এনআইএ-র আইজি-কে তাদের হেফাজতে মোবাইল থাকার বিষয়টি জানায়। অথচ ই-মেল করার পরে এক সপ্তাহ কেটে গেলেও মোবাইলটি এনআইএ নেয়নি। পরে নিয়েছে।
এনআইএ-র বিশেষ কৌঁসুলি দেবাশিস মল্লিক চৌধুরী বলেন, ‘‘হেস্টিংস থানার পুলিশ আদালতে জানায়, মোবাইল তাদের মালখানায় আছে। সেই মতো পদক্ষেপ করা হয়েছে। নিষ্ফল মণ্ডলের বিরুদ্ধে জাল নোটের মামলায় ওই মোবাইল গুরুত্বপূর্ণ সূত্র দিতে পারে।’’ তিনি জানান, জামিনে মুক্তি চেয়ে নিষ্ফলের আবেদন আদালত খারিজ করেছে।
কারা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘এত কাঠখড় পোড়ানোর দরকারই ছিল না। হেস্টিংস থানায় যে মামলা রুজু হয়েছে, সেটা এনআইএ গত বছর জানুয়ারিতে জেনেছে। তার পরেও দীর্ঘ সময় তারা নষ্ট করল।’’