খুনের তদন্ত শুরু করে পুলিশ খুঁজে পেয়েছিল একটিই সূত্র। তাতেই ধরা পড়ল আততায়ী।
রবিবার খড়দহে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে যে যুবককে খুন করা হয়, এক বছর আগে তার ভাইকেও অবিকল এক কায়দায় নিকেশ করা হয়েছিল। একই পরিবারের দু’জনের এই এক পরিণতি দেখেই খটকা লাগে দুঁদে পুলিশ অফিসারদের। তাঁরা বুঝে নেন, দু’টি খুনের পিছনেই এক দলের হাত রয়েছে।
এই সূত্র ধরেই শুক্রবার রাতে খড়দহের লক্ষ্মীঘাট এলাকা থেকে লালা ও বিষ্ণু নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’জনেই দাগি দুষ্কৃতী বলে জানায় পুলিশ। দিন কয়েক আগে খড়দহে ভোলা নায়েক খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এই দু’জনকে ধরে পুলিশ। ভোলার ভাই সন্তোষকে এরাই একই কায়দায় ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে বলে পুলিশের সন্দেহ। পুলিশের দাবি, খড়দহের বড় মসজিদ এলাকার একটি গলিতে গত রবিবার ভোলা বাড়ি ফেরার সময়ে লালা-বিষ্ণুরা তার উপরে হামলা চালায়। তবে তাদের সঙ্গে আরও এক জন ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। তারও খোঁজ চলছে।
তবে ভোলার নামও আগেই পুলিশের খাতায় উঠেছিল। ভোলা, লালা সকলেই খড়দহের বড় মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। একটা সময়ে তারা দু’জনই এক গ্যাং-এর হয়ে নানা দুষ্কর্মে জড়িয়েছিল বলে তদন্তে প্রকাশ। ব্যারাকপুর বা হাওড়া-হুগলির শিল্পাঞ্চলে বন্ধ কারখানায় লুঠপাট বা অজস্র ছোটখাটো ডাকাতির ঘটনায় তখন ভোলা-লালাদের নাম উঠে আসে।
তাহলে লালারা সেই ভোলার বিরুদ্ধেই দাঁড়াল কেন? পুলিশ সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে একটি খাটালে দখল কায়েম করা নিয়েই তারা বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। আর জেরেই লালাদের হাতে ভোলার ভাই সন্তোষ খুন হয় বলে পুলিশের একাংশের ধারণা। এর পরে ভোলাকেও নিশানা করে লালারা। এক মাস আগে জেল থেকে সে ছাড়া ভোলা। এর পরেই পুরনো শত্রুতার জেরে তার গ্যাং-এর সঙ্গীরাই তাকে খতম করে বলে অভিযোগ।