প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্ককর্মী পরিচয় দিয়ে অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেই চলেছে শহরে। একই কায়দায় প্রতারকেরা টাকা তুলে নিয়েছে বলে, শুক্রবার তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে শহরের দু’টি থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, কোন ঘটনাতেই অভিযুক্তদের ধরা বা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি শনিবার রাত পর্যন্ত।
ভুয়ো ব্যাঙ্ককর্মী সেজে ফোন করে এটিএম কার্ডের বিস্তারিত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। অনেক সময়েই তদন্তে নেমে পুলিশ কয়েক জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেও। তবু ওই প্রতারণা চক্রের সদস্যেরা যে এখনও যথেষ্ট সক্রিয় তা এই তিনটি ঘটনায় সামনে আসছে। তাদেরই শিকার হলেন যাদবপুর এবং নেতাজিনগর এলাকার তিন বাসিন্দা। ওই তিন জনের পক্ষ থেকেই ওই দুই থানায় পৃথক ভাবে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার যাদবপুর থানায় সোনালি পার্কের বাসিন্দা সন্দীপ কুমার দাস অভিযোগ করেন, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী পরিচয় দিয়ে এক ব্যাক্তি তাঁকে ফোন করেন। কথার ফাঁদে ফেলে তাঁর অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে নেন। পরে তিনি জানতে পারেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন ওই প্রতারকেরা। ওই দিনই যাদবপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র হাসিবুদ্দিন খান অভিযোগ করেন, তাঁকে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী পরিচয় দিয়ে এক ব্যাক্তি ফোন করেছিল। তিনি তার কথায় বিশ্বাস করে অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য বলে দেন। পরে সেই সূত্র ধরেই প্রতারকেরা অনলাইনে কেনাকাটা করে প্রায় ৪৭ হাজার টাকা তুলে নেন। তিনি বিষয়টি পরে জানতে পেরেছেন। পুলিশ জানায়, ওই দিনই আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয় নেতাজিনগর থানায়। বৈষ্ণবঘাটা রোডের বাসিন্দা এক মহিলা অভিযোগ করেন, একই কায়দায় তাঁর এটিএম কার্ডের তথ্য জেনে প্রতারকেরা প্রায় তিরিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।