অ্যারি ডেসমন্ড মার্কস
অবশেষে ধরা পড়লেন মার্কস!
কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু কিছুতেই তাঁর হদিস পাচ্ছিলেন না তদন্তকারী অফিসারেরা। পুলিশের দাবি, টাকা হাতিয়ে এ দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনাও করেছিলেন তিনি। তবে শেষ মুহূর্তে কলকাতা থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হল।
পুরো নাম অ্যারি ডেসমন্ড মার্কস (৪৫)। আদতে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের বাসিন্দা মার্কস চামড়া রফতানিকারক একটি সংস্থার অধিকর্তা। সেই সংস্থার অফিস সল্টলেকে। সম্প্রতি ওই সংস্থা এবং সেখানকার দুই অধিকর্তার বিরুদ্ধে অন্য একটি সংস্থার তরফে প্রতারণা, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মার্কসকে ধরে পুলিশ। আর এক অধিকর্তা তুলসী ভরতরাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ডিসেম্বর মাসে একটি সংস্থা বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগে জানায়, তারা অন্য এক সংস্থাকে চামড়া সরবরাহ করত। সেই সূত্রে তাদের পাওনা প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা। কিন্তু বার বার বলা সত্ত্বেও সেই সংস্থা টাকা মেটাতে অস্বীকার করে।
প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ ওই রফতানি সংস্থার বিরুদ্ধে এমন আরও তথ্য পায়। তদন্তকারীদের অনুমান, বিভিন্ন অভিযোগ অনুসারে প্রতারণার পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি টাকা। যদিও আপাতত একটিই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জেনেছে, ২০১৩ থেকে কাজ শুরু করে অভিযুক্ত সংস্থাটি। প্রায় ২০০ জন কাজ করতেন সেখানে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে কাঁচা চামড়া কিনে ওই সংস্থা বিদেশে রফতানি করত। সম্প্রতি সল্টলেকের এএল ব্লকে সংস্থার যন্ত্রপাতি সরিয়ে নিয়ে অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাজ হারান ২০০ জন কর্মী। তাঁরাও পুলিশে অভিযোগ জানান, তাঁদের বেতন বকেয়া রেখে চম্পট দিয়েছেন মার্কস। এর পরেই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সোমবার রাতে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয়।
তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, শেষ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন মার্কস। মঙ্গলবার ধৃতকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়।