অবরোধ জি টি রোডে

পুলিশি ধরপাকড়, ক্ষোভ টোটো চালকদের

আগে ছিল রিকশা, এখন হয়েছে টোটো। ব্যাটারি চালিত এই গাড়ির কারণে প্রতিনিয়ত বাধা পাচ্ছে হাওড়ার গতি। শহরের প্রধান রাস্তা থেকে অলিগলি, সর্বত্রই এখন টোটোর রমরমা। আর তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশও। তাই মাঝেমধ্যেই ধরপাকড় করতে হচ্ছে নিয়ম না মানা টোটোকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৩৩
Share:

চলছে লাঠিচার্জ। শুক্রবার। — নিজস্ব চিত্র

আগে ছিল রিকশা, এখন হয়েছে টোটো। ব্যাটারি চালিত এই গাড়ির কারণে প্রতিনিয়ত বাধা পাচ্ছে হাওড়ার গতি। শহরের প্রধান রাস্তা থেকে অলিগলি, সর্বত্রই এখন টোটোর রমরমা। আর তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশও। তাই মাঝেমধ্যেই ধরপাকড় করতে হচ্ছে নিয়ম না মানা টোটোকে।

Advertisement

পুলিশের ধরপাকড়ের প্রতিবাদে শুক্রবার শিবপুর থানার সামনে জি টি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকশো টোটো চালক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে শিবপুর থানার সামনে জড়ো হন কয়েকশো টোটো চালক ও মালিকেরা। তাঁদের অভিযোগ, ব়ৃহস্পতিবার নাবালক এক টোটো চালককে মারধর করে পুলিশ। এ ছাড়াও কয়েক মাস ধরে শিবপুরে টোটো আটক করে ৩০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করছে পুলিশ। কিন্তু তার কাগজপত্র দেওয়া হচ্ছে না। এর প্রতিবাদে টোটো চালক ও মালিকেরা শিবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা জিটি রোডে। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পুলিশকে লক্ষ্য করে টোটো চালকেরা ইট ছুঁড়তে শুরু করলে কয়েকটি বাইক ও বাসের কাচ ভেঙে যায়। বিক্ষোভকারীরা বাসে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে শিবপুর থানার পাশাপাশি পুলিশ লাইনের বিশাল বাহিনী আসে। নামানো হয় র‌্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আহত হন পুলিশকর্মী-সহ বেশ কয়েকজন।

Advertisement

টোটো চালকদের কথায়, ‘‘পুলিশ জিটি রোডে টোটো চলতে দিচ্ছে না। কারণ ছাড়াই কেস দিচ্ছে, টাকা নিচ্ছে। তাহলে আমাদের লাইসেন্স দেওয়া হল কেন?’’ তবে হাও়ড়া জুড়ে টোটোর রমরমার কথা অস্বীকার করছেন না পুরকর্তা থেকে পুলিশও। এমনকী হাওড়া টোটো ওয়ার্কাস ইউনিয়নও স্বীকার করছে টোটোর জন্য তৈরি হওয়া সমস্যার কথা। যেমন হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদ তথা টোটো সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি শ্যামল মিত্র বলেন, ‘‘শহর জুড়ে অতিরিক্ত টোটো চলায় শহরের গতি স্তব্ধ হচ্ছে। পুরসভার তরফে যখন টোটোর লাইসেন্স দেওয়া হত, তখন বিষয়টা আমাদের হাতেই ছিল। কিন্তু পুলিশ লাইসেন্স দেওয়া শুরুর পরে আমাদের হাতে কিছু নেই।’’ আরও বলেন, ‘‘এটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা। শহরকে গতিশীল করতে টোটো নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’’

হাওড়া সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) সুমিত কুমার বলেন, ‘‘পুলিশ রসিদ ছাড়া টাকা নিয়েছে, সত্য নয়। কেউ তা প্রমাণ করুক। টোটো নিয়ম মানছে না। যা খুশি করছে। আর তাদের আটক করলেই বিক্ষোভ। শহরকে সচল রাখতে এ সব মেনে নেওয়া হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন