বাগড়ি চত্বরে এখনও ডালা, পুলিশকে তোপ মেয়রের

গত সেপ্টেম্বরের শেষে বাগড়ি মার্কেটে আগুন লাগে। বাজারের বাইরে একটি সুগন্ধী ও বডি স্প্রে-র ডালায় প্রথমে আগুন লেগেছিল।

Advertisement

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৪২
Share:

অসচেতন: পোড়া বাগড়ি মার্কেটের সামনেই ফের শুরু হয়েছে ডালা সাজিয়ে বিকিকিনি। নিজস্ব চিত্র

পুড়ে যাওয়া বাজার বন্ধ করে রেখেছে কলকাতা পুরসভা, দমকল এবং পুলিশ। পোড়া অংশে যাতে কেউ ঢুকতে না পারেন, সে জন্য গেটের বাইরে শেড দিয়ে আটকানো। কিন্তু তাতে কী? ডালা ব্যবসায়ীরা বহাল তবিয়তে বাগড়ি মার্কেটের নীচে এবং ওই তল্লাটে ফের শুরু করেছেন ব্যবসা। ঘটনায় ক্ষুব্ধ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে তিনি পুরসভার নিজস্ব বাহিনী নেই বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

গত সেপ্টেম্বরের শেষে বাগড়ি মার্কেটে আগুন লাগে। বাজারের বাইরে একটি সুগন্ধী ও বডি স্প্রে-র ডালায় প্রথমে আগুন লেগেছিল। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে বাজারের চারটি ব্লকে। সেই সব ব্লকের বিভিন্ন দোকানের ব্যবসায়ীরা এখনও বাজারে ঢুকতে পারেননি। শুরু করতে পারেননি নতুন করে ব্যবসা। কিন্তু, ডালা ব্যবসায়ীরা আবার স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন বাগড়ির সামনে।

ঘটনার পরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মেয়র। তাঁর কথায়, ‘‘কলকাতার পুলিশ কমিশনার চাইলেও তাঁর অধস্তন কর্মীদের একাংশ এই সমস্যা সমাধানে সক্রিয় হচ্ছেন না। ফলে কিছু করাও যাচ্ছে না।’’

Advertisement

বাগড়ি মার্কেট-সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় হিসেবের বাইরে নতুন হকার বসে পড়ার কথাও স্বীকার করেছেন ফিরহাদ। ডালা বেআইনি, তা জানিয়েই তাঁর বক্তব্য, ‘‘পুলিশকে বারবার বলেছি, ডালা বেআইনি। এ-ও বলেছি, নতুন হকার এ দিক-সে দিক বসে পড়ছে। কিন্তু কোনও হেলদোল নেই। আমার কাছে তো বাহিনী নেই। তাই পুলিশ বিষয়টা না দেখলে পুরসভা একা কী করবে?’’

বাগড়ি মার্কেট, এজরা স্ট্রিট, মোতি মার্কেট, রামপুরিয়া মার্কেট— ছবিটা সর্বত্রই এক। বাগড়ি মার্কেটের সামনে শেড দিয়ে আটকানো না থাকলে বোঝার উপায় নেই যে মাত্র দু’মাস আগে এখানেই ঘটে গিয়েছে বিপর্যয়।

বাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় থাকা ব্যবসায়ীরাও ক্ষুব্ধ প্রশাসনের ভূমিকায়। বাগড়ি মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি আশুতোষ সিংহের কথায়, ‘‘আমরাও দেখছি। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও দেখছেন। আমার মুখের কথায় তো ডালা ব্যবসায়ীরা সরে যাবেন না। প্রশাসনের কাছে আমাদের প্রশ্ন, এত বড় ঘটনার পরেও কী ভাবে ফের ডালা ব্যবসায়ীরা এখানে বসতে পারেন? আমরা তো এখনও পর্যন্ত দোকানই খুলতে পারলাম না।’’

প্রসঙ্গত, বাগড়ি মার্কেটের খুব কাছেই বড়বাজার থানা। তা সত্ত্বেও কী ভাবে এখনও ওই জায়গায় রাস্তা দখল করে ডালা বসছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরাও। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) শুভঙ্কর সিংহ সরকারকে রবিবার ফোন করা হলে তিনি শুধু দেখছি বলে ফোন কেটে দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন