এ দেশ থেকে সোনা চুরি করে বাংলাদেশে পালিয়েছিল ভাই-বোন। তিন মাস পরে ফের এ দেশে ঢুকতে গিয়ে সীমান্তে ধরা পড়ল ওই দু’জন। ধৃতেরা বাংলাদেশের নাগরিক।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা সীমান্তের অভিবাসন চেকপোস্ট থেকে ওই দু’জনকে এ দেশে ঢোকার পথে আটক করা হয়। পরে তাদের তুলে দেওয়া হয় পোস্তা থানার পুলিশের হাতে। ওই মামলার সরকারি কৌঁসুলি সৌরীন ঘোষাল বলেন, ‘‘ধৃত ভাই নাবালক। দিদির নাম তানিয়া সুলতানা। দু’জনেই বাংলাদেশের নাগরিক। শনিবার আদালতে তানিয়ার দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের হয়েছে। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড এ দিন বন্ধ থাকায় নাবালক অভিযুক্তকেও আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ধ্রুবাশ্রমে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।’’
পুলিশ জানায়, বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা ওই ভাই-বোন বছর দেড়েক আগে পর্যটক ভিসা নিয়ে এ দেশে প্রবেশ করে। গিরিশ পার্ক থানা এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ নেয় তানিয়া। সেখানে তার ভাইও থাকত। ওই ব্যবসায়ীর পোস্তা এলাকায় সোনার ব্যবসা রয়েছে আর এক ব্যবসায়ী অমল বব্বরের সঙ্গে। সেখানে টুকটাক কাজ করত ছেলেটি। পুলিশের কাছে অমল বব্বর অভিযোগ করেন, গত ১৩ ডিসেম্বর সকালে ওই কিশোরকে প্রায় দু’কেজি সোনা দিয়ে কারখানায় পাঠানো হয়। কিন্তু সে সোনা নিয়ে কারখানায় যায়নি। পরে তাঁরা জানতে পারেন, তানিয়ারও খোঁজ মিলছে না ওই দিন থেকে। এর পরেই তাঁরা পোস্তা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তদন্তকারীরা জানান, ওই দু’জন ঘটনার পরেই বসিরহাট হয়ে বাংলাদেশে ফিরে যায়। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে গত ১৯ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে আদালত। সেই নোটিস পৌঁছে দেওয়া হয় অভিবাসন দফতরের কাছে। এক পুলিশ কর্তা জানান, শুক্রবার সকালে ঘোজাডাঙা সীমান্তের কর্মীরা ওই দু’জনকে আটক করে পোস্তা থানায় খবর দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তেরা ফের এ দেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিল কেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।