এ বার ভাস্কর্যে সেজে উঠবে বাইপাস

দমদম বিমানবন্দর থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত ভিআইপি রোডের দু’ধারে সৌন্দর্যায়নের কাজ ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। কেষ্টপুর খালের ধারেও বাহারি গাছ লাগানোর কাজ হয়েছে। এ বার একই ভাবে ই এম বাইপাসও সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হতে চলেছে।

Advertisement

সোমনাথ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:১২
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

উল্টোডাঙা থেকে গড়িয়া পর্যন্ত ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের উপরে সৌন্দর্যায়নের কাজে হাত দিয়েছে কেএমডিএ। সাড়ে ১৫ কিলোমিটার এই রাস্তায় নানা রকম ভাস্কর্য বসাতে চায় তারা। সেই জন্য উল্টোডাঙা থেকে গড়িয়ার ঢালাই ব্রিজ পর্যন্ত ১২টি নির্দিষ্ট জায়গায় ভাস্কর্য বসানোর কাজ জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হবে। ইতিমধ্যেই ভাস্কর্য তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। নিউ টাউনে শহরের এক পরিচিত শিল্পীর কারখানায় এই ভাস্কর্য তৈরির কাজ চলছে।

Advertisement

দমদম বিমানবন্দর থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত ভিআইপি রোডের দু’ধারে সৌন্দর্যায়নের কাজ ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। কেষ্টপুর খালের ধারেও বাহারি গাছ লাগানোর কাজ হয়েছে। এ বার একই ভাবে ই এম বাইপাসও সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হতে চলেছে।

কেএমডিএ-র এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ই এম বাইপাসের উপরে জোকা-বিমানবন্দর মেট্রোর কাজ চলছে এখন। তাই সৌন্দর্যায়নের কাজে তাড়াতাড়ি হাত দেওয়া যাচ্ছে না। তবে যে ১২টি জায়গায় ভাস্কর্যগুলি বসানো হবে, তা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ১২টি ভাস্কর্য তৈরি করতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এর পরে কাঠামো তৈরি করে সেগুলি বসানো হবে। কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, উল্টোডাঙা থেকে সল্টলেকে গেটের মুখে, মনি স্কোয়ার, বেলেঘাটা মোড়, টেগোর পার্ক, অজয়নগর, বেণুবনছায়া, ফ্লোটিং মার্কেট এবং মুকুন্দপুরের মতো কিছু জায়গায় ভাস্কর্যগুলি বসানো হবে।

Advertisement

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান শহরের মধ্যের রাস্তাগুলিকে সুন্দর করে তুলতে হবে। বাইরের লোকে এসে শহরের ঝকঝকে রাস্তা আলো দেখে যাতে মুগ্ধ হন, তার দিকে নজর দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে শহর এবং গ্রামের রাস্তায় সুন্দর ভাবে আলো লাগানো হচ্ছে। রাতের কলকাতার আলোর রোশনাই আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে। দমদম বিমানবন্দর থেকে শহরে আসার সময়ে রাতের দিকে ঝলমল করে রাস্তা। একই ভাবে ই এম বাইপাসকেও সাজাতে চান মুখ্যমন্ত্রী।

কেএমডিএ-র এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ভিআইপি রোডের সৌন্দর্যায়ন করছে পূর্ত দফতর। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের সৌন্দর্যায়ন করেছি আমরা। বাইপাসে যে ভাস্কর্যগুলি বসানো হবে তার কোনওটা ইটের, কোনওটা ফাইবার এবং স্টিল ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে। এতে শহরের সৌন্দর্য বাড়বে। রাস্তার পাশে গাছ লাগানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেছে বন দফতর। সব কাজ শেষ হলে এই রাস্তাও পাল্টে যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement