Bhabanipur & CM Mamata Banerjee

ভবানীপুর ‘বহিরাগত’ দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস, বিজয়া সম্মিলনীতে দার্জিলিং থেকে বার্তা মমতার

বুধবার আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী। উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে রয়েছেন দার্জিলিংয়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৩৩
Share:

মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়াই আলিপুরের ধনধান‍্য প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত হয় ভবানীপুর বিধানসভা তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী। নিজস্ব ছবি

‘‘ভবানীপুরটা পুরো ‘আউটসাইডারদের’ (বহিরাগত) দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ এমনই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর তৃণমূলের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে রয়েছেন দার্জিলিংয়ে। প্রথমে ঠিক ছিল, সেখান থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভবানীপুরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেবেন তিনি। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা সম্ভব না হলে, মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ফোনে দার্জিলিং থেকেই বার্তা দেন। সেখানেই বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিতে গিয়ে ভবানীপুরের জনবিন্যাস পাল্টে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সামনে লক্ষ রাখবেন যদি নতুন করে ভোটার লিস্ট হয়, তা হলে কিন্তু প্রত্যেককে আবার নতুন করে সবকিছু করতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিএলএ-দের দায়িত্ব খুবই বেশি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভবানীপুরটা পুরো আউটসাইডারদের দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুরো একটা প্ল্যানিং করে। আউটসাইডার নামে যাঁরা বেঙ্গলে থাকেন, তাঁদের আমি আউটসাইডার বলছি না। যাঁরা হঠাৎ করে বাইরে থেকে এসে টাকা খরচ করে জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করে, কাউকে লোকালি কিছু টাকা দিয়ে বেরিয়ে চলে যাচ্ছে। সেইসব জায়গায় যাঁরা ফ্ল্যাট কিনছেন, তাঁরা না পাচ্ছেন জল, না পাচ্ছেন ড্রেনেজ সিস্টেম। না পাচ্ছেন ঠিক মতো ব্যবস্থা। সে ক্ষেত্রে কেন আমরা বুঝব না। আগে আমার কাছে গরিব মানুষ, তাঁরাই আমাদের সম্পদ।’’

নিজের বিধানসভা নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘ভবানীপুর আমার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র। সারা বাংলার সঙ্গে আমি ভবানীপুরকেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখি। আপনাদের সবার সঙ্গে পুজোর সময় আমার দেখা হয়েছে। ওই সময় সব জাতি, বর্ণ, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গেই আমার দেখা হয়েছে। ভবানীপুরের বেশির ভাগ পুজো প্যান্ডেলই আমি দেখি। পুজোর সময় তো একদিন বৃষ্টিতে জল জমে গিয়েছিল। কিন্তু দ্রুত সেই জল নামানো হয়েছিল, যাতে পুজোর সময় কারও কোনও ক্ষতি না হয়। এ বারের আবহাওয়া আমাদের খুব ভুগিয়েছে। তা সত্ত্বেও আপনারা মানুষের সঙ্গে যে ভাবে সময় কাটিয়েছেন, সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন, সেটাই বড় কথা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি দেখছি অনেক এলাকায় গরিব মানুষের বস্তি ভেঙে দিয়ে বড় বাড়ি তৈরি হচ্ছে। আমি যেটা সাপোর্ট করি না। এ ভাবে ভোটারদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তো আমরা বাংলার বাড়ি করে দিতে পারি। আমাদের কি অসুবিধা আছে? গরিব মানুষগুলোকে প্রোটেকশন দিতে তো আমাদের কোনও অসুবিধা নেই।‘’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement