‘শত্রু’ রুখতে বিশেষ নজরদারি শুরু করল বিধাননগর।
আর তার জেরেই দক্ষিণ দমদম পুর এলাকা লাগোয়া ৮, ১০ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়ি, ঝোপ-জঙ্গল এবং নিকাশি নালা ঘিরে বিশেষ তৎপরতা দেখানো হচ্ছে বলে দাবি বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষের।
পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৬-তে এই তিনটি ওয়ার্ডের অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়া, ঘোষপাড়া, চালপট্টি-সহ একাধিক এলাকায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ, বিশেষত ডেঙ্গির প্রকোপ ছিল। এ বছর ওই তিনটি ওয়ার্ডের লাগোয়া দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় ইতিমধ্যেই মশাবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে। তাই ওই তিন ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়িতে নোটিস পাঠানো, ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার করা ও নিকাশি সাফাইয়ের দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি বিধাননগর পুরসভার।
এ বছরের শুরু থেকে লাগাতার সচেতনতার প্রচারে সাড়া মিলেছে বলে দাবি করছেন পুর কর্তৃপক্ষ। মশাবাহিত রোগের প্রতিরোধে এক দিকে সল্টলেকের ১৪টি ওয়ার্ড, অন্য দিকে রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় ২৭টি ওয়ার্ডের জন্য আলাদা করে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, সল্টলেকের কেষ্টপুর ও ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেল লাগোয়া এলাকা, বিভিন্ন আবাসন, স্কুল এবং সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। যদিও শ্রাবণী, বৈশাখী, কেবি-কেসি আবাসন থেকে মশার প্রকোপ বৃদ্ধির অভিযোগ রয়েছে বাসিন্দাদের একাংশের। ঝুপড়ি এলাকাতেও মশা বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘পুর এলাকাকে দু’ভাগে ভাগ করে কাজ হচ্ছে। তবে দক্ষিণ দমদম পুরসভা লাগোয়া এলাকায় নজরদারি কঠোর হচ্ছে। এ বার বাসিন্দাদের তরফেও সাড়া মিলছে। স্কুলগুলিতেও নজরদারি চালানো হচ্ছে।’’