সল্টলেকে শুরু হকার উচ্ছেদ অভিযান

বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, বাম বোর্ডের সময়ে ফুটপাথ দখল করে দোকান গজিয়ে ওঠা শুরু হয়েছিল। শপিং মলের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অফিসের সংখ্যা যত বেড়েছে তত পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অবৈধ দোকান। সেই সংখ্যা এখন কয়েক হাজার। বাসিন্দাদের দাবি, হকারেরা বসুন, কিন্তু সুশৃঙ্খল ভাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:২৯
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সল্টলেকের রাস্তা এবং ফুটপাথ থেকে হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করল বিধাননগর পুরসভা। শনিবার, করুণাময়ী মোড়, পূর্বাচল, অরণ্য ভবনের জেসি ব্লকে কয়েকশো বেআইনি দোকান ভাঙা হয়।

Advertisement

বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, বাম বোর্ডের সময়ে ফুটপাথ দখল করে দোকান গজিয়ে ওঠা শুরু হয়েছিল। শপিং মলের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অফিসের সংখ্যা যত বেড়েছে তত পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অবৈধ দোকান। সেই সংখ্যা এখন কয়েক হাজার। বাসিন্দাদের দাবি, হকারেরা বসুন, কিন্তু সুশৃঙ্খল ভাবে।

বিধাননগরের তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছিল, আগের হকারেরা থাকবেন। নতুন করে কাউকে বসতে দেওয়া হবে না। কিন্তু রাশ টানতে পারছিল না পুরসভাও। এ দিন ভেঙে দেওয়া হয় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের একটি পার্টি অফিসও। প্রতিবাদে করুণাময়ী মোড়ে বিক্ষোভ দেখান হকারদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, বিধাননগর পুর প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অভিযান চালিয়েছে।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্ত অবশ্য জানান, অবৈধ দোকান উচ্ছেদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা পুরনো হকার তাঁরা চাকা লাগানো ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে বসবেন। নতুন কোনও দোকান বসতে দেওয়া হবে না। পথচারীদের জায়গা রাখতেই হবে। ফুটপাথ বা রাস্তা কেউ দখল করে রাখতে পারবেন না। এ কথা বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু কেউ তা শোনেননি। তাই এই অভিযান করতে বাধ্য হয়েছে পুরসভা।’’ তিনি জানান, শুধু বিশ্বকাপ উপলক্ষে নয়, সারা বছরই সল্টলেকে এই অভিযান চলবে।

হকারদের অভিযোগ, পুজোর মুখে কয়েকশো পরিবার রোজগার হারাল। সল্টলেক এলাকার বিভিন্ন অফিসে নিয়মিত কাজের জন্য আসেন অসংখ্য মানুষ। তাঁদের একাংশের মত, অফিস পাড়ার বেশির ভাগ কর্মী খাবার খেতেন এই দোকানগুলি থেকেই। যদিও, দোকানের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হারিয়ে যাচ্ছিল চলার পথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন