জরিমানা আদায়ের জন্য ট্র্যাফিক গার্ডগুলিতে বসবে ই-কিয়স্ক। প্রতীকী ছবি।
ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙলে করলে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে জরিমানা আদায়ের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। অনলাইনে জরিমানার টাকা পরে ভরতে হচ্ছে গাড়িচালক কিংবা মালিকদের। কিন্তু, সেই অনলাইনে টাকা জমা করার প্রক্রিয়ায় অনেকেই সড়গড় হতে পারছেন না।
তাই এ বার থেকে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিতে জরিমানা আদায়ের জন্য ই-কিয়স্ক চালুর পরিকল্পনা করেছে বিধাননগর ট্র্যাফিক পুলিশ। সূত্রের খবর, বিধাননগরের ১০টি ট্র্যাফিক গার্ডের দফতরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
ঘটনাস্থল থেকে ট্র্যাফিক নিয়মভঙ্গকারীদের জরিমানা আদায়ের কাজ বন্ধ হওয়ায় সমস্যা বেশ বেড়েছে। যেমন এক ক্যাবের চালককে সম্প্রতি সল্টলেকে ঢোকার মুখে নিয়ম ভাঙার জন্য ‘কেস দেয়’। সেই চালক জানান, অনলাইন ছাড়া টাকা জমা করা যাচ্ছে না। কিন্তু তিনি অনলাইনে টাকা জমা করতে সড়গড় নন।
গাড়িচালক থেকে মালিকদের একাংশের দাবি, ঘটনাস্থল থেকেই জরিমানা আদায়ের কাজ ফের শুরু করুক পুলিশ। উল্টোডাঙার বাসিন্দা শুভেন্দু বসু বলেন, ‘‘যাঁরা বিধাননগরের বাইরের বাসিন্দা, তাঁদের পক্ষে ট্র্যাফিক গার্ড খুঁজে বার করাই মুশকিল। তাই ঘটনাস্থলে জরিমানা আদায় করা হলেই সুবিধা হয়।’’ আবার গাড়ি চালকদের একাংশের কথায়, সাইবার কাফেতে গিয়ে অনলাইনে টাকা জমা করতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়।
সমস্যা মেটাতে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিতে তৈরি হচ্ছে ই-কিয়স্ক, যেখানে অনলাইনে জরিমানার টাকা ভরা যাবে। ঘটনাস্থল থেকে জরিমানা আদায়ের কাজ ফের চালু করাও ট্র্যাফিকের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বলে জানান এক কর্তা। তিনি জানান, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে ঘটনাস্থল থেকে জরিমানা আদায়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাবও রাজ্য পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আর্থিক অনুমোদন এলেই কাজ শুরু হবে। তবে সমস্যা কমাতে ট্র্যাফিক গার্ডে জরিমানা আদায়ের কাজ শুরু করা হবে আরও আগেই।
শুধু ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙাই নয়, সম্প্রতি ট্র্যাফিক পুলিশ কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। তাঁদের মারও খেতে হচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্তেরা সেই সব কথা অস্বীকার করছেন। তাই তথ্য প্রমাণ সংগ্রহে এ বার থেকে কলকাতা পুলিশের ধাঁচেই ‘বডি ক্যামেরা’ ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে বিধাননগর কমিশনারেট।