ছবি: সংগৃহীত।
নিউ টাউন থেকে বিমানবন্দর এলাকায় নজরদারি থেকে নিরাপত্তাবৃদ্ধিতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা করছে বিধাননগর কমিশনারেট।
নতুন এই পরিকল্পনাগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বিমানবন্দর থানা ভেঙে নতুন একটি থানা তৈরি করা। অনেকদিন আগেই সেই প্রস্তাব দিয়েছিল বিধাননগর কমিশনারেট। পূর্বতন নারায়ণপুর ফাঁড়িকেই থানায় রূপান্তরিত করা হবে বলে বিধাননগর পুলিশ সূত্রের খবর। অনুমোদন পাওয়ার পর থানায় কর্মী সংখ্যা থেকে শুরু করে আয়তন কতটা হবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। বিধাননগর পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, অনুমোদন মিলেছে। দ্রুত নতুন থানা তৈরির কাজ শুরু হবে।
রাজারহাটের একটি অংশ থেকে শুরু করে মধ্যমগ্রাম পর্যন্ত এলাকা রয়েছে বিমানবন্দর থানার আওতায়। নতুন থানা হলে সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দর থানার আয়তন অনেকটাই কমে যাবে। এর ফলে দু’টি থানা এলাকাতেই নজরদারির কাজের গতি আরও বাড়বে বলে আশা পুলিশ প্রশাসনের।
বিমানবন্দর থানার আওতায় ছিল নারায়ণপুর ফাঁড়ি। কিন্তু নারায়ণপুর থেকে রাজারহাট রোডে নজরদারি থেকে শুরু করে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে পুলিশকর্মী মোতায়েনের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল। বেশ কয়েকটি অপরাধের ঘটনাও ঘটেছে এই এলাকায়। সেই সব ঘটনা খতিয়ে দেখতে গিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ থানার প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়। বিমানবন্দর থানার জন্য নিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের অনেকটা সময়ে ভিআইপি রোড, যশোর রোড এবং সংলগ্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণেই ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই নারায়ণপুর থেকে রাজারহাট এলাকায় নজরদারি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজে সমস্যা হচ্ছিল।
সাধারণ মানুষেরও ওই এলাকায় আরও একটি থানা তৈরির দাবি ছিল। বিধাননগর পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে কৈখালি সর্দারপাড়া থেকে মধ্যমগ্রাম এলাকা বিমানবন্দর থানার মধ্যে এবং রাজারহাট রোড ধরে বাকি অংশ নতুন থানার আওতায় নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা চলছে।
নতুন একটি থানাই নয়, আরও কয়েকটি থানা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের। নিউ টাউন এলাকাকে ঘিরে সরকারি-বেসরকারি ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের সম্প্রসারণ চলছে। সেই প্রেক্ষিতে বর্তমান নিউ টাউন থানার পাশাপাশি আরও দু’টি থানা এবং ইকো পার্কের কাছে একটি আউট পোস্ট তৈরির পরিকল্পনাও করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
এ ছাড়াও পুলিশকর্মীদের জন্য আবাসন, নিজস্ব প্যারেড গ্রাউন্ড তৈরির ভাবনাও রয়েছে বলে জানান এক পুলিশ কর্তা।