রাজারহাট

পুর নিগমই ফের কাটাচ্ছে ভরাট করে ফেলা পুকুর

দু’বিঘে পুকুরের কাঠা তিনেক ভরাট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পেয়েছিল বিধাননগর পুর নিগম। শরিকি সেই পুকুরটির এক শরিকের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন পুরকর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৩৭
Share:

দু’বিঘে পুকুরের কাঠা তিনেক ভরাট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পেয়েছিল বিধাননগর পুর নিগম। শরিকি সেই পুকুরটির এক শরিকের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন পুরকর্তারা। সেই শরিককে নোটিস পাঠানো হয়েছিল পুকুরটি পুনরায় কেটে দেওয়ার জন্য। কিন্তু অভিযোগ, নোটিস পাওয়া সত্ত্বেও কিছুই করেননি পুকুরের মালিকেরা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার পুর নিগমই ওই পুকুরটি পুনরায় কেটে দেওয়ার কাজ শুরু করল।

Advertisement

এর আগে কেষ্টপুরে একটি ব্যক্তিগত মালিকানার পুকুর ভরাট হয়ে যাওয়ায় সেটি পুনরায় কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুর নিগম। ওই ঘটনায় পুকুর ভরাটের অভিযোগে গ্রেফতারও হয়ে ছিলেন দু’জন।

পুর নিগমের কমিশনার অলকেশপ্রসাদ রায় মঙ্গলবার জানান, এই পুকুরটির এক শরিক শেখ মইউদ্দিনের নামে তাঁর নিজের জায়গাটি ভরাট করার অভিযোগ আসে। কমিশনার বলেন, ‘‘পুজোর আগেই আমরা অভিযোগ পেয়েছিলাম। মইউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছিল। তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এ দিন থেকে পুকুরটি পুনরায় কাটার কাজ শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

পশ্চিম বেড়াবেড়ির ওই পুকুরটি বিধাননগর পুর নিগমের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে। সেখানকার কাউন্সিলর বিধাননগর পুর নিগমের ডেপুটি চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপসবাবু রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার সিপিএমের চেয়ারম্যান থাকাকালীন মইউদ্দিন তাঁর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। যদিও তাপসবাবু বলেন, ‘‘রাজারহাটের সব মানুষই আমার ঘনিষ্ঠ। তাই বলে কেউ অন্যায় করলে তা বরদাস্ত করা হবে না। ওই ব্যক্তিকে একাধিক বার বলা হয়েছিল পুকুর পুনরায় কেটে দিতে। তিনি তা করেননি। ফলে পুর নিগমই উদ্যোগী হয়ে সেই কাজ শুরু করেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement