সোয়াইন ফ্লু নিয়ে সচেতন নন কর্মীরাই

মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহে যুক্ত কর্মীরা কি সোয়াইন ফ্লু নিয়ে আদৌ কোনও তথ্য সংগ্রহ করছেন?

Advertisement

কাজল গুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯ ০১:৪৫
Share:

এমনই দশা সল্টলেকের নয়াপট্টি এলাকার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

সোয়াইন ফ্লুয়ে আক্রান্তদের সম্পর্কে সময় মতো তথ্য মিলছে না। এমনই অভিযোগ বিধাননগর পুরপ্রশাসনের। পরিস্থিতি বদলাতে এ বার হাসপাতালগুলিকে সময়ে খবর দেওয়ার আবেদন করতে চলেছে পুরসভা।

Advertisement

পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহে যুক্ত কর্মীরা কি সোয়াইন ফ্লু নিয়ে আদৌ কোনও তথ্য সংগ্রহ করছেন? না কি বাড়িগুলি থেকে শুধুই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের তথ্য নেওয়া হয়? বাসিন্দাদের কথায়, যাঁরা বাড়িগুলিতে তথ্য সংগ্রহের কাজে আসেন, তাঁরা মশাবাহিত রোগে কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কি না, সেটুকু জেনে চলে যান। সোয়াইন ফ্লু নিয়ে কোনও প্রশ্ন তাঁদের করা হয় না। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সোয়াইন ফ্লুয়ের প্রাদুর্ভাব সে ভাবে দেখা না দেওয়ায় এত দিন তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন হত না। ফলে পুরকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেন না। এখন অবশ্য এ নিয়ে তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি নতুন করে ভাবা হচ্ছে।

বাড়িগুলি থেকে যদি সোয়াইন ফ্লু সংক্রান্ত তথ্য নেওয়ার কাজ শুরুও হয়, প্রশ্ন উঠছে তার সাফল্য নিয়ে। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের সচেতনতায় একাধিক বার পুরকর্মী থেকে কাউন্সিলরদের নিয়ে কর্মশালা হয়ে থাকে। কিন্তু সোয়াইন ফ্লু সচেতনতায় কর্মশালা হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না পুর কর্তারাই। ফলে কর্মীদের পক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঠিক ভাবে সে কাজ করা কতটা সম্ভব? পুরকর্মীদের প্রশ্ন, মশাবাহিত রোগ সম্পর্কেই সব সময়ে পর্যাপ্ত তথ্য মেলে না। সেখানে সোয়াইন ফ্লু নিয়ে কতটা তথ্য দিতে বাসিন্দারা রাজি থাকবেন? এ নিয়ে ধন্দ থাকছে পুরসভার অন্দরেই।

Advertisement

মেয়র পারিষদ প্রণয় রায় (স্বাস্থ্য) সমস্যার কথা স্বীকার করে জানান, আগে এমন পরিস্থিতি আসেনি। সম্প্রতি কয়েক জন সোয়াইন ফ্লুয়ে আক্রান্ত হন। এমনকি মৃত্যুও হয়েছে। সোয়াইন ফ্লুয়ের প্রাদুর্ভাব কোথা থেকে এবং কী ভাবে ঘটল, এখনও তা নির্ণয় করা যায়নি। তাই রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা প্রসারে পুরকর্মী ও কাউন্সিলরদের নিয়ে কর্মশালার কথা ভাবা হচ্ছে। পুরসভা সূত্রের খবর, আপাতত মাইকে প্রচার, লিফলেট বিলি করার কথা ভাবা হচ্ছে। সল্টলেক এবং রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডকে এই রোগের আধিক্যের জন্য চিহ্নিত করে সচেতনতা প্রসারে জোর দেওয়া হবে। পরিবেশ ও স্বাস্থ্য দফতরকে নিয়ে এলাকা পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন