Mobile Compactor

আবর্জনা সংগ্রহে গতি আনতে ভ্রাম্যমাণ কম্প্যাক্টরের ভাবনা বিধাননগরে

বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, এলাকা থেকে একাধিক সংস্থা আবর্জনা জড়ো করে তা ধাপায়ফেলে আসে। কিন্তু সেই ময়লা জড়ো করে ধাপায় ফেলে ফেরএলাকায় ফিরে আসতে দীর্ঘ সময় লাগছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫ ০৭:৫২
Share:

পুর এলাকাকে ভ্যাটমুক্ত করতে ভ্রাম্যমাণ কম্প্যাক্টর থেকে শুরু করে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। —প্রতীকী চিত্র।

জন্মলগ্ন থেকেই আবর্জনাজনিত সমস্যা থেকে পুরোপুরি মুক্তিঘটেনি বিধাননগরের। সাবেক বিধাননগর পুরসভা বা বর্তমানের পুর বোর্ডের সময়েও সেই একই ছবিই দেখা গিয়েছে সেখানে। তবে এ বার বিধাননগর পুর এলাকাকে ভ্যাটমুক্ত করতে ভ্রাম্যমাণ কম্প্যাক্টর থেকে শুরু করে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন।

বাসিন্দাদের কথায়, ‘‘বিধাননগরকে ভ্যাটমুক্ত করার প্রতিশ্রুতির বয়সও অনেক। এ নিয়ে আগে চেষ্টা হলেও তা পুরোপুরিভাবে কার্যকর হতে কখনও দেখা যায়নি। নিয়মিত আবর্জনা সংগ্রহ হলেও পুর এলাকায় আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে এমন প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হলে পুর এলাকার উন্নতি হতে পারে।’’

বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, এলাকা থেকে একাধিক সংস্থা আবর্জনা জড়ো করে তা ধাপায়ফেলে আসে। কিন্তু সেই ময়লা জড়ো করে ধাপায় ফেলে ফেরএলাকায় ফিরে আসতে দীর্ঘ সময় লাগছে। ফলে শহর থেকে দৈনিক আবর্জনা সরানোর ক্ষেত্রেঅনেক বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে সবটা এক দিনেস্থানান্তরিত করা সম্ভব হয় না। তাই পুর এলাকাকে আবর্জনামুক্ত করতে এ বার পর্যাপ্ত সংখ্যক গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সেগুলি আনা হচ্ছে। বর্তমানে রাস্তায় ভ্যাট রেখে সেখান থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। নতুন পরিকল্পনায় প্রতিটিওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ কম্প্যাক্টরকে আবর্জনা সংগ্রহের কাজে লাগানো হবে। এমনকি, আবাসনগুলি থেকে আবর্জনা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও এতে সুবিধা হবে।

এর পাশাপাশি থাকবে কুইক রেসপন্স দলও। পুর এলাকার ৪১টি ওয়ার্ডে একটি করে দল কাজকরবে। পাশাপাশি ৬টি বরোয় কাজ করবে একটি করে দল। এরপাশাপাশি থাকবে কেন্দ্রীয় দলও। বাসিন্দাদের দেওয়া নম্বরের সাহায্যে তাঁরা কুইক রেসপন্স দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। যদিও বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, ‘‘শহরে আবর্জনার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তাই দীর্ঘমেয়াদীচিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। এর আগেও শোনা গিয়েছিল, বিধাননগর পুরসভা আবর্জনা সংগ্রহে গাড়ির সমস্যা মেটাতে একাধিক গাড়ি নিয়েছে। কিন্তু তার পরেও সমস্যা মেটেনি।’’

যদিও বর্তমান পুর বোর্ডের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী জানান,পুর এলাকা ভ্যাটমুক্ত এবং আবর্জনামুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। আগে গাড়ি কেনা হলেও তা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত ছিল না। আধুনিক চিন্তায় একটি পরিকল্পনাকে প্রয়োগের চেষ্টা চলছে। পুজোর আগেই নতুন ব্যবস্থাটি যাতে চালু করা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন