মিড-ডে মিলে নজর রাখতে ক্যামেরার ভাবনা

মেয়র পারিষদের অবশ্য দাবি, শুধু নজরদারি চালানোই ক্যামেরা লাগানোর উদ্দেশ্য নয়। নজরদারির পাশাপাশি মিড-ডে মিল পরিষেবাকে আরও কী ভাবে উন্নত করা যায়, তা ঠিক করার জন্যও সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০২:৩৩
Share:

বিধাননগর পুরসভা।

মিড-ডে মিল পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে নজরদারি ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে চলেছে বিধাননগর পুরসভা। মিড-ডে মিল ব্যবস্থা কেমন চলছে, তা জানতে নিয়মিত নজরদারি চালাতে চাইছে তারা। তাই রান্না করার জায়গা এবং যেখানে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে, সেখানে সিসি ক্যামেরা বসাতে চেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলেন মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) রাজেশ চিরিমার।

Advertisement

মেয়র পারিষদের অবশ্য দাবি, শুধু নজরদারি চালানোই ক্যামেরা লাগানোর উদ্দেশ্য নয়। নজরদারির পাশাপাশি মিড-ডে মিল পরিষেবাকে আরও কী ভাবে উন্নত করা যায়, তা ঠিক করার জন্যও সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন।

পুরসভা সূত্রের খবর, বিধাননগর পুর এলাকার মোট ৮২টি স্কুলে মিড-ডে মিল পরিষেবা দেওয়া হয়। তার মধ্যে ৫১টি স্কুলে রান্না এবং পরিবেশন করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি স্কুলগুলিতে রান্না করা খাবার এনে খাওয়ানো হয়।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, কত জন পড়ুয়া মিড-ডে মিল খাচ্ছে, তার ভিত্তিতে রাঁধুনির ব্যবস্থা করা হয়। পুরসভা স্কুলগুলিকে মাথা-পিছু সর্বোচ্চ ১৫০ গ্রাম করে চাল সরবরাহ করে। বাকি পদের জন্য মাথা-পিছু সাড়ে ৬ টাকার কিছু বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর চাল সরবরাহ করা হয়। যে সব স্কুলে রান্নার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে স্টিলের পাত্র, প্লেট, গ্লাস সরবরাহ করে পুরসভা।

পুরকর্তারা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়মিত মেনুও পাল্টানো হয়। সপ্তাহের এক-এক দিন এক-এক রকমের মেনু থাকে। কখনও ভাত-ডাল-তরকারি, কখনও খিচুড়ি, ঘুঘনি, আলুর দম, এমনকি নিরামিষ বিরিয়ানিও দেওয়া হয়। তবে পোকা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, এমন আনাজ রান্না করা হয় না। প্রতিদিনের মেনু বোর্ডে লেখা থাকে।

এখানেই শেষ নয়। এক-এক দিন কত জন পড়ুয়া মিড-ডে মিল খাচ্ছে, তারও হিসেব রাখা হয়। সেই সংখ্যাটা কম হলে কেন কম হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হয়। সূত্রের খবর, দেখা গিয়েছে, কখনও হয়তো শুধু খিচুড়ি আর তরকারি পড়ুয়ারা পছন্দ করছে না। তখন মেনু বদল করা হয়। এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে, মিড-ডে মিল চালু হওয়ার পর থেকে পড়ুয়াদের সংখ্যা বেশ কিছুটা বেড়েছে।

এই যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হয় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হয়।

পুরসভা সূত্রের খবর, বাগুইআটির একটি স্কুলে মিড-ডে মিলের মান নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সেই ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন বলেই দাবি পুরকর্তাদের। তাঁদের বক্তব্য, মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ, রান্নার প্রক্রিয়া, খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা-সহ সমস্ত কিছু নিয়ম মেনে চলছে কি না, তা যেমন নজরে রাখা প্রয়োজন, তেমনই পড়ুয়াদের চাহিদার বিষয়টিও মাথায় রাখা দরকার। সেই কারণেই স্কুলে স্কুলে সিসি ক্যামেরা লাগানো জরুরি। ক্যামেরা লাগানো হলে পরিষেবাকে কী ভাবে আরও উন্নত করা যায়, তার পরিকল্পনা করা সহজ হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন