পুরসভার অধিবেশনে বরাবর চুপচাপই থাকেন তিনি। এ বার লোকসভা নির্বাচনের বুথ-ফেরত সমীক্ষার ফলাফলে অনেকটাই উজ্জীবিত বিজেপি-র কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। বোধহয় সেই কারণেই মঙ্গলবার পুর অধিবেশনে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে হইচই ফেলে দেন তিনি। বলেন, ‘‘দেশ রাম কা হ্যায়।’’ যা নিয়ে কিছু ক্ষণ ধরে তর্কাতর্কি চলে অধিবেশন কক্ষে। মেয়র পারিষদ তারক সিংহ মীনাদেবীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘এ দেশ রাম এবং রহিমের। ধর্মীয় বিভাজন করবেন না।’’ ওই আলোচনা বন্ধ করতে দু’পক্ষকেই নির্দেশ দেন চেয়ারপার্সন মালা রায়। তখন মাইক ছেড়ে নিজের আসনে গিয়ে বসেন মীনাদেবী।
কী হয়েছিল এ দিন?
অধিবেশনের শেষ পর্বে মীনাদেবীর প্রস্তাব ছিল, গঙ্গার ধারে জগন্নাথঘাটের সঙ্গে যে নিকাশি নালা রয়েছে, তা বহু পুরনো। হালও খুব খারাপ। প্রায়ই সেখানে জল জমে থাকে। যার জন্য গঙ্গায় স্নান করতে আসা মানুষজনের অসুবিধা হয়। ওই নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কারের আবেদন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। তাঁর তোলা সেই সমস্যার কথা মন দিয়েই শুনছিলেন সকলে। প্রস্তাব শেষ করে হঠাৎই ‘জয় শ্রীরাম’ বলে ওঠেন মীনাদেবী। তখনই চেঁচামেচি শুরু করেন শাসক দলের কাউন্সিলরেরা। অধিবেশন কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মীনাদেবী একাই পাল্লা দিতে থাকেন শাসক দলের কাউন্সিলরদের সঙ্গে। তাঁকে নিজের আসনে বসতে নির্দেশ দেন মালাদেবী। তত ক্ষণে তাঁর প্রস্তাবের জবাব দিতে উঠে এসেছেন নিকাশি দফতরের মেয়র পারিষদ তারক সিংহ। চেয়ারপার্সনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি অবশ্য বেশি দূর গড়ায়নি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘শ্রীরামের শত্রু কেউ নয়। ওঁরা আসলে ধর্মীয় ভাবাবেগে খোঁচা দিচ্ছেন। এটা অন্যায়। অধিবেশনে নিকাশি, পানীয় জল, জঞ্জাল-সহ যে কোনও সমস্যার কথা উনি বলতেই পারেন। জয় শ্রীরাম বলার কোনও কারণ নেই।’’