বধূর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, রহস্য বিরাটিতে

পাশাপাশি ঘরে শুয়েছিলেন মা-ছেলে। মাঝের দরজা ভেজানো ছিল। গৃহকর্তা গিয়েছিলেন বি আর সিংহ হাসপাতালে, অসুস্থ প্রতিবেশীর জন্য রাত জাগতে। সোমবার সকালে বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘর লণ্ডভণ্ড।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৬ ০১:০৭
Share:

পাশাপাশি ঘরে শুয়েছিলেন মা-ছেলে। মাঝের দরজা ভেজানো ছিল। গৃহকর্তা গিয়েছিলেন বি আর সিংহ হাসপাতালে, অসুস্থ প্রতিবেশীর জন্য রাত জাগতে। সোমবার সকালে বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘর লণ্ডভণ্ড। বিছানায় স্ত্রীর নিথর দেহ। পাশের ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় রয়েছে ছেলে।

Advertisement

সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বিরাটির শ্রীনগরে। মৃতদের নাম কবিতা মুখোপাধ্যায় ও প্রতাপ মুখোপাধ্যায়। ওষুধের ব্যবসায়ী প্রদীপ মুখোপাধ্যায় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। প্রতাপের দিদি প্রমিতার বিয়ে হয়েছে নীলাচলে। একতলা বাড়িটিতে দোতলার ছাদ ঢালাই হয়েছে। তিনতলার কাজ চলছে।

পুলিশ জানায়, সোমবার প্রদীপবাবু দেখেন, ছেলের বাইক রাস্তায় দাঁড় করানো। ভিতরে ঢুকে শাড়ির আঁচলে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় কবিতাদেবীর নিথর দেহ দেখেন। তাঁর নাক, মুখ দিয়ে রক্ত গড়াচ্ছিল। দু’হাতের কব্জিতে কালশিটে। পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুনের সময়ে কবিতাদেবীর সঙ্গে খুনির ধস্তাধস্তি হয়। তখনই তাঁর হাত থেকে খোলা হয় সোনার বালা ও চুড়ি। দেহের পাশ থেকে মিলেছে কিছু পোশাক ও ব্যাগ। মেঝেতে ছিল একটি ভাঙা ধুনুচি ও সাঁড়াশি।

Advertisement

প্রদীপবাবু ছেলের ঘরে গিয়ে দেখেন, অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছেন প্রতাপ। তখন বাড়ির তিনতলায় কাজ করছিলেন এক মিস্ত্রি। পুলিশ জানায়, কবিতাদেবী যে ঘরে শুতেন, সেখানে বাড়ি তৈরির জিনিস থাকত। ওই মিস্ত্রি সেখানে ঢুকে সেগুলি নেন। পুলিশের অনুমান, আধো-অন্ধকারে মিস্ত্রি সম্ভবত বুঝতে পারেননি, কবিতাদেবী মারা গিয়েছেন।

ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে পরিচিত কেউই খুন করেছে। খুনের কারণ স্পষ্ট নয়। লুঠের অভিযোগ দায়ের হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন