কামদুনির ভেড়িতে মহিলার দেহ ঘিরে রহস্য

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দিন সন্ধ্যায় কামদুনি এবং মহিষগাঁতির মধ্যে সংযোগকারী রাস্তার ধারে একটি ঘর থেকে এক শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পান কয়েক জন মৎস্যজীবী। তাঁরা গিয়ে দেখেন, ভেড়ির জলে ভাসছে এক মহিলার দেহ। আর এক ব্যক্তি মহিষগাঁতি গ্রামের দিকে পালাচ্ছেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৫৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

একটি শিশুর কান্না শুনে ছুটে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশীরা। বাচ্চাটির কাছ থেকে সব শুনে তাঁরা গিয়ে দেখেন, স্থানীয় ভেড়িতে ভাসছে এক মহিলার দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা ওই মহিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতার নাম শাবানা বিবি (৩৫)। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে রাজারহাট থানার কামদুনি ও মহিষগাঁতির মধ্যে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শাবানার স্বামী মোতালেব ঘরামিকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দিন সন্ধ্যায় কামদুনি এবং মহিষগাঁতির মধ্যে সংযোগকারী রাস্তার ধারে একটি ঘর থেকে এক শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পান কয়েক জন মৎস্যজীবী। তাঁরা গিয়ে দেখেন, ভেড়ির জলে ভাসছে এক মহিলার দেহ। আর এক ব্যক্তি মহিষগাঁতি গ্রামের দিকে পালাচ্ছেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, দশ বছর আগে মোতালেবের সঙ্গে বিয়ে হয় শাবানার। তাঁদের ৯ এবং ৬ বছরের দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। ঘটনার দিন ভেড়িতে মোতালেবের নাইট ডিউটি ছিল। কাজে যাওয়ার আগে তিনি স্ত্রীকে ১০০ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু ছেলে বায়না করায় শাবানা আরও টাকা চান। তা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় অশান্তি।

Advertisement

অভিযোগ, ভেড়ির রাস্তায় গিয়ে মোতালেব লাঠি নিয়ে শাবানার উপরে চড়াও হন। পাল্টা শাবানাও মারেন স্বামীকে। ধস্তাধস্তি চলাকালীন দু’জনেই ভেড়ির জলে পড়ে যান। কিন্তু মোতালেব জল থেকে উঠে এলেও শাবানা উঠতে পারেননি।

মোতালেব আদৌ স্ত্রীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন না কি তিনিই শাবানাকে উঠতে দেননি, তদন্তে নেমে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। তবে পুলিশের অনুমান, শাবানার মৃত্যুর নেপথ্যে মোতালেবের হাত থাকতে পারে। তারা জানিয়েছে, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন