crime

বন্ধ ঘরে মেয়ের দেহ, মা সঙ্কটজনক

আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি বালিকার মা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, মেয়ের হাতের শিরা কেটে খুন করার পরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ওই তরুণী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২০ ০১:২৪
Share:

প্রতীকী চিত্র

সকাল থেকে বার বার মেয়েকে ফোন করছিলেন বাবা-মা। ফোন না ধরায় দুপুরে মেয়ের ফ্ল্যাটে চলে এসেছিলেন তাঁরা। দরজা ভেঙে দেখলেন, হাতের শিরা কাটা অবস্থায় পড়ে তাঁদের মেয়ে ও নাতনি! ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে, বালির তর্কসিদ্ধান্ত লেনে। পুলিশ জানায়, মৃত্যু হয়েছে সাত বছরের মেয়েটির। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি বালিকার মা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, মেয়ের হাতের শিরা কেটে খুন করার পরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ওই তরুণী।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, একটি আবাসনের তেতলায় থাকতেন মা ও মেয়ে। গত ডিসেম্বরে মস্তিষ্কের টিউমারে মৃত্যু হয় স্বামীর। এর পরেই বালির ফ্ল্যাটে আসেন তরুণী। তার পর থেকে তরুণীর বাবা ও মা অধিকাংশ সময় মেয়ের সঙ্গেই থাকতেন। তরুণীর বাবা জানান, বৃহস্পতিবার মেয়েকে বাজার করে দিয়ে পরদিন স্ত্রীকে নিয়ে লিলুয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। শনিবার কম্পিউটার ক্লাস করে রবিবার বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল মেয়ের।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতা বালিকার ডান কব্জির শিরা কাটা ছিল। তরুণীর শিরা কাটা থাকলেও জ্ঞান ছিল। ঘর থেকে একটি ব্লেড ও তিনটি সিরিঞ্জ মিলেছে। যার একটি ব্যবহার হয়েছে বলে মত তদন্তকারীদের। কিন্তু কেন ওই সিরিঞ্জ কেনা হয়েছিল এবং কবেই বা সেটি ব্যবহার হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়।

Advertisement

পরিবার সূত্রের খবর, কিছু দিনের মধ্যেই স্বামীর কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। বিয়ের পর থেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তরুণী। চিকিৎসাও চলছিল। প্রতিবেশীরাও জানান, কম কথা বলতেন ওই তরুণী। মেয়েকেও মিশতে দিতেন না। পুলিশের অনুমান, অবসাদ থেকে তরুণী এমন কাজ করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন