ট্র্যাফিক নিয়ম শিকেয়, যানজটে নাজেহাল

ভিআইপি রোড থেকে বিমানবন্দর এলাকার মধ্যে দিয়ে ওই বাইপাসটি দিয়ে মধ্যমগ্রাম, বারাসত হয়ে ব্যারাকপুর, কৃষ্ণনগর, বনগাঁ, বসিরহাটের দিকে প্রতি দিনই বহু গাড়ি যাতায়াত করে। ওই পথে বাস ও ট্রাকের জন্য রয়েছে নো-এন্ট্রি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৫
Share:

প্রতীক্ষা: যানজটে দীর্ঘ গাড়ির সার। ছবি: সুদীপ ঘোষ

পথচারীদের সুবিধার্থে রাস্তা চওড়া হয়েছে। কিন্তু গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি মাত্র জায়গা। অভিযোগ, যথাযথ ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় ওই জায়গার জন্য প্রতিদিন যানজটের কবলে পড়ছেন অসংখ্য নিত্যযাত্রী। ঘটনাস্থল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে কলকাতা বিমানবন্দরের আড়াই নম্বর গেটের কাছে একটি বাইপাস।

Advertisement

ভিআইপি রোড থেকে বিমানবন্দর এলাকার মধ্যে দিয়ে ওই বাইপাসটি দিয়ে মধ্যমগ্রাম, বারাসত হয়ে ব্যারাকপুর, কৃষ্ণনগর, বনগাঁ, বসিরহাটের দিকে প্রতি দিনই বহু গাড়ি যাতায়াত করে। ওই পথে বাস ও ট্রাকের জন্য রয়েছে নো-এন্ট্রি। ফলে বিমানবন্দর ১ নম্বর গেট এড়িয়ে অনেক ছোট গাড়িও চলে এই পথে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে ওই রাস্তাটি ছিল একমুখী। সকালে গাড়ি চলত শুধু বনগাঁ-বসিরহাটের দিকে, বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরের দিকে। কিন্তু এখন দু’দিকেই সব সময়ে গাড়ি যাতায়াত করে। কিছুটা সময় অন্তর এক দিকের গাড়ি আটকে অন্য দিকের গাড়ি ছাড়া হয়।

৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী গাড়ির চালকদের অভিযোগ, কিছু ক্ষণ পর পরই সিগন্যাল লাল করে বাইপাস দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করায় দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। কোনও সময়ে এমন অবস্থা হয় যে, বিমানবন্দরের ১ নম্বর গেট থেকে বিরাটি হয়ে দোলতলা পর্যন্ত গাড়ির লাইন পড়ে যায়। যাত্রীদের প্রশ্ন, তা হলে বিমানবন্দরের ১ নম্বর গেট থেকে দোলতলা পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করে কী লাভ হল?

Advertisement

দুর্ভোগ বেশি হয় ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত। ছুটির আমেজ উপভোগ করতে আসা লোকজনের ভিড়ে চাপ বাড়ে গাড়ির। যানজটে থমকে শুধু যে চালক ও যাত্রীদের সমস্যা হয় তাই নয়, ভোগান্তিতে পড়েন বিমানযাত্রীরাও। দীর্ঘ ক্ষণ আটকে থাকায় অনেক ক্ষেত্রে বিমান ধরার সময়ও পেরিয়ে যায়।

মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা কনক পাল জানালেন, ওই বাইপাস থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত উড়ালপুল হলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হত। একই কথা বলছেন বারাসত-হাওড়া রুটের বাসচালক চঞ্চল রায়ও। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ঠিক মতো ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় প্রতি দিন দীর্ঘ সময় ওখানে আটকে থাকতে হয়।’’

সমস্যাটি নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশকর্তারা। ডেপুটি কমিশনার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও এয়ারপোর্টের বাইপাসের সমস্যা কী ভাবে
মসৃণ করা যায়, সে ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন