দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে গোলমাল

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৫৩
Share:

থানার সামনে উত্তেজনা। হাতের আঘাত দেখাচ্ছেন এক আক্রান্ত। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

দু’পক্ষের গোলমালে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তাল হল লেক টাউনের এস কে দেব রোড এলাকা। ঘটনার প্রতিবাদে লেক টাউন থানায় বিক্ষোভ দেখান এক পক্ষের লোকজন। অন্য পক্ষের লোকেরা দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়ির সামনে জড়ো হন। লেক টাউন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনায় পাঁচ জন জখম হয়েছেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে এস কে দেব রোডে ৯৯ গলির বাজার এলাকায় গোলমালের সূত্রপাত। দুষ্কৃতীদের হামলা থেকে রেহাই পাননি মহিলারাও। অভিযোগ, কালীপুজোর মণ্ডপ ভাঙা হয়েছে। এক দল যুবক রোজ বাজারের সামনে বসে মহিলাদের গালগালি করে। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে বলে দাবি। যদিও লেক টাউন থানা লি‌খিত অভিযোগের কথা স্বীকার করেনি।

এ দিন সকালে দুই যুবক বাইক নিয়ে বাজারে যান। অভিযোগ, সেই সময়ে অন্য পক্ষের কয়েক জন তাঁদের মারধর করে। মার খেয়ে পাড়ায় ফিরে তাঁরা পুরো ঘটনা জানান। অভিযোগ, এর পরে ওই পাড়ার লোকেরা হামলা চালায় বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর একটি কালীপুজোর মণ্ডপে। সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়। বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের মারধর করা হয়। এমনকি তাঁদের ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয় বলেও আক্রান্ত মহিলাদের অভিযোগ।

Advertisement

এর পরেই তাঁরা লেকটাউন থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরে তাঁরা অভিযোগও দায়ের করেন। অন্য পক্ষের লোকেরা দমকলমন্ত্রীর বাড়ির সামনে জড়ো হন। দ্রুত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি তোলেন তাঁরা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় লেকটাউন থানার পুলিশ। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এই গোলমাল মূলত বিধায়ক তথা দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং তাঁরই ঘনিষ্ঠ দক্ষিণ দমদম পুরসভার কাউন্সিলর মানসরঞ্জন রায়ের অনুগামীদের মধ্যে হয়েছে।

আক্রান্ত এক ব্যক্তি বিশ্বজিৎ দাস জানান, তিনি মোটরবাইকে চেপে ৯৯ গলির স্থানীয় বাজারে কালীপুজোর বাজার করতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। আক্রান্ত হন আরও এক স্থানীয় যুবক।

মানসরঞ্জনবাবু অবশ্য গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে। ঘটনা নিয়ে যা বলার দলকে ঠিকই বলব।’’

দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু অবশ্য বলেন, ‘‘সবাই একসঙ্গেই ওঠাবসা করে। পাড়ায় নিজেদের মধ্যে গোলমাল। এখানে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। গোষ্ঠী সংঘর্ষ বলে যা প্রচার করা হচ্ছে, সে সবেরও কোনও ভিত্তি নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন