টালিনালার উপরে সেতুর সংস্কার

টালিনালার পশ্চিম পাড়ের বাঁশদ্রোণির বন্দীপুর, কালীবাড়ি, রায়নগর, বিধানপল্লি থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস রোডে আসার ছোট ছোট সেতুগুলির সংস্কার করল রাজ্যে সেচ দফতর। দীর্ঘ দিন ধরে সেতুগুলি খারাপ অবস্থায় ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৯৫ সাল থেকে সেতুগুলি সংস্কারে জন্য বার বার আবেদন জানালেও তৎকালীন বাম সরকারের কাছ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি।

Advertisement

দেবাশিস দাস

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৫ ০০:০৩
Share:

সংস্কারের পরে।— নিজস্ব চিত্র

টালিনালার পশ্চিম পাড়ের বাঁশদ্রোণির বন্দীপুর, কালীবাড়ি, রায়নগর, বিধানপল্লি থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস রোডে আসার ছোট ছোট সেতুগুলির সংস্কার করল রাজ্যে সেচ দফতর। দীর্ঘ দিন ধরে সেতুগুলি খারাপ অবস্থায় ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৯৫ সাল থেকে সেতুগুলি সংস্কারে জন্য বার বার আবেদন জানালেও তৎকালীন বাম সরকারের কাছ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সেচ দফতর রাজ্য জুড়ে এ রকম ১০৫টি সেতু স‌ংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
সংস্কারের পরে বদলে গিয়েছে টালিগঞ্জের শান্তিনগর, কালীবাড়ি এবং বিধানপল্লি সেতুর চেহারা। বাঁশদ্রোণি সেতুর সংস্কারের কাজ চলছে। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাম আমলে এই সেতুগুলি উপেক্ষিত ছিল। আমরা সেতুগুলির চেহারা বদলে দিয়েছি।’’
বাসিন্দারা জানান, এক সময়ে এই সেতুগুলির উপর দিয়ে দু’টি গাড়ি পাশাপাশি যেতে পারতো না। কোনও সেতু খুব উঁচু, কোনওটা আবার বেশ সঙ্কীর্ণ ছিল। পথচারী আর গাড়ি পাশাপাশি যেতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটত। পর্যাপ্ত আলোও ছিল না।

Advertisement

বাসিন্দা চয়ন পালের কথায়, ‘‘এখন সেই সেতুগুলিই অনেক চওড়া। রাস্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উচ্চতা হওয়ায় গাড়ি চলাচলে সুবিধা হয়েছে। ফুটপাথ রয়েছে। আলো ঝলমল করে।’’

সেচ দফতর সূত্রে খবর, সংস্কারে জন্য সেতু প্রতি এক থেকে দেড় কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

Advertisement

১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের গোপাল রায় বলেন, ‘‘১৯৯৫-এ ভোটে জেতার পরে সেতুর সংস্কারের জন্য এলাকার মানুষের স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন জমা দিয়েছিলাম। তৎকালীন বাম সরকারের সাড়া পাইনি। আমাদের প্রতিশ্রুতিই ছিল ক্ষমতায় এলে সংস্কার করব। চার বছরের মধ্যেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি।’’ এটা যে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল তা স্বীকার করেন ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের অনিতা কর মজুমদারও।

স্বপ্নপূরণ হওয়ায় বাসিন্দারা খুশি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক সিপিএম নেতার কথায়, ‘‘গাফিলতি আর উদাসীনতার জন্যই বাম সরকার এ কাজ করে উঠতে পারেনি।’’

টালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তথা আবাসন ও যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘রাজ্যে পরিবর্তনের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই এলাকার সেতুগুলির দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমরা সেই নির্দেশ পালন করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন