লাইনের ধারে মিলল কন্ডাক্টরের দেহ

পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে ছাগল চরাতে গিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি রেললাইনের ধারে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। তিনিই স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর দেন। সেখান থেকে খবর যায় রেলরক্ষী বাহিনীর কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৯
Share:

ঘটনাস্থলে তদন্তকারীরা। শুক্রবার, আন্দুলে। নিজস্ব চিত্র

উড়ালপুলের নীচে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল এক কন্ডাক্টরের ক্ষতবিক্ষত দেহ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের শালিমার স্টেশনের কাছে আন্দুল রোড উড়ালপুলে। মৃতের নাম সন্তু মাইতি (৩৮)। বাড়ি সাঁকরাইল থানার আন্দুল সেকেন্ড বাই লেনে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই উড়ালপুলের নীচে একটি মদের ঠেক রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, প্রচুর মদ্যপান করে রেললাইনের ধার দিয়ে যাওয়ার সময়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। যদিও মৃত্যুর কারণ জানতে দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে ছাগল চরাতে গিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি রেললাইনের ধারে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। তিনিই স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর দেন। সেখান থেকে খবর যায় রেলরক্ষী বাহিনীর কাছে। তাঁরা আসেন ঘটনাস্থলে। অভিযোগ, সকালে খবর পেলেও প্রায় তিন ঘণ্টা পরে পৌঁছয় শালিমার জিআরপি থানার পুলিশ। ফলে মৃতদেহ তুলতে দেরি হয়ে যায়।

রেলপুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নিম্নাঙ্গে কোনও পোশাক ছিল না। মুখের ডান দিক এমন ভাবে থেঁতলে গিয়েছিল যে প্রথমে চিনতেও পারা যায়নি। মৃতদেহের সামনে পড়ে ছিল রক্তমাখা একটি ডাল। ওই যুবকের পাশে পড়ে থাকা ব্যাগ থেকে বাসের টিকিটের বান্ডিল পেয়ে পুলিশ জানতে পারে, তিনি আন্দুলের একটি বাস রুটের কন্ডাক্টর। এর পরেই ওই বাসের মালিককে ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠানো হয় সন্তুকে শনাক্ত করার জন্য। বাসমালিক গণেশ সাউ বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবারই দিনের সমস্ত হিসেব মিটিয়ে, দু’দিনের ছুটি নিয়ে সন্তু বাড়ি গিয়েছিল। আজ সকালে শুনি

Advertisement

ওর দেহ মিলেছে। কী হল, কিছুই বুঝতে পারছি না।’’

সন্তুর এক প্রতিবেশী মাধব সাহা জানান, ওই যুবকের বাবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বাড়িতে আছেন বৃদ্ধা মা ও বোন। সন্তু অবিবাহিত ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে রেলপুলিশ জানিয়েছে, যে জায়গায় দেহটি পাওয়া গিয়েছে, তার পাশেই টিন দিয়ে ঘেরা একটি পরিত্যক্ত গুমটিতে কয়েক মাস ধরে রাতে মদের ঠেক বসছিল। ওই যুবকের মৃত্যুর সঙ্গে মদের ঠেকের কোনও যোগ আছে কি না, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন