—প্রতীকী চিত্র।
২০২১ সালে কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের তৎকালীন এসআই রত্না সরকার এবং হোমগার্ড দীপঙ্কর দেবনাথের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ জেল হেফাজতে থাকা ওই দুই পুলিশকর্মীর জামিনের আর্জি শর্তসাপেক্ষে মঞ্জুর করেছে।
প্রায় সাড়ে চার বছরের পুরনো এই মামলায় গত ১৮ জুলাই বিশেষ সিবিআই আদালত রত্না এবং দীপঙ্করকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এসি (তৎকালীন ওসি, নারকেলডাঙা থানা) শুভজিৎ সেন এবং ‘খুনে সাহায্যকারী’ সুজাতা দে-র জামিনের আবেদনও খারিজ করে তাঁদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। এর পরেই রত্না এবং দীপঙ্কর কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। হাই কোর্টে সিবিআই তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করেছিল।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই সময়েই ভোট পরবর্তী হিংসায় পূর্ব কলকাতার কাঁকুড়গাছির অভিজিৎ খুন হন। পরিবারের অভিযোগ, ফল প্রকাশের পরেই গলায় তার পেঁচিয়ে ও পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় অভিজিৎকে। প্রথমে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে পুলিশের থেকে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। এই মামলায় পুলিশ প্রথমে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করে সিবিআই। তাতে মোট ২০ জন অভিযুক্তের নাম ছিল, যাঁদের মধ্যে ১৫ জনের নাম পুলিশের জমা দেওয়া চার্জশিটেও ছিল। গত ২ জুলাই দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের। রয়েছে, শুভজিৎ, সুজাতা, রত্না, দীপঙ্করদের নামও।