পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন কোর্টের

বেলুড়ের বাসিন্দা মনোজ জানান, হাওড়া পুরসভার ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের বেলুড় রোডে গত পাঁচ বছর ধরে তিনি কালীপুজো করে আসছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ০২:২৪
Share:

একটি পুজো নিয়ে গোলমাল এবং মারধরের অভিযোগ পেয়েও পুলিশ কেন তদন্ত করেনি, সেই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। হাওড়ার বেলুড়ে একটি কালীপুজোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ঘরছাড়া করার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। অভিযোগ, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তার পরে মনোজ সিংহ নামে ওই ব্যক্তি হাইকোর্টে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানিতে পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট পড়ে বুধবার ওই প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।

Advertisement

বেলুড়ের বাসিন্দা মনোজ জানান, হাওড়া পুরসভার ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের বেলুড় রোডে গত পাঁচ বছর ধরে তিনি কালীপুজো করে আসছেন।
সেই পুজোর অনুমতি দেয় বেলুড় থানা ও হাওড়া পুরসভা। গত ২৬ মে ওই পুজো ছিল। অভিযোগ, তিনি বিরোধী একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী হওয়ায় স্থানীয় কাউন্সিলর ও তাঁর ভাই দলবল নিয়ে ওই দিন মনোজের উপর চড়াও হন। তাঁকে বেধড়ক পেটানোও হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ও মণ্ডপ ছোটো করিয়ে শেষ পর্যন্ত পুজো করতে দেয়।

মনোজের দাবি, ওই দিনই বেলুড় থানায় স্থানীয় কাউন্সিলর, তাঁর ভাই ও অন্য যাঁরা তাঁকে মারধর করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান। কিন্তু পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি অভিযোগ জানান হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকেও। তাতেও নড়েচড়ে বসেনি পুলিশ। সেই কারণে পরে হাইকোর্টে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা দায়ের করেন মনোজ।

Advertisement

এ দিন সেই মামলার শুনানি ছিল। মনোজের আইনজীবী স্মরজিৎ রায়চৌধুরী ও উত্তম বসাক আদালতে জানান, বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী হওয়ায় তাঁদের মক্কেলের অভিযোগ পেয়ে এফআইআর পর্যন্ত দায়ের করেনি পুলিশ।

সরকারি আইনজীবী এর পরে আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করেন। তা পড়ে বিচারপতি বাগচী জানতে চান, অভিযোগ পেয়ে কী তদন্ত করেছে পুলিশ। সরকারি কৌঁসুলি জানান, ঘটনাস্থলে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। তা শুনে বিচারপতি বাগচী অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখাই পুলিশের কাজ। কিন্তু মারধরের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কী করল?’’

বিচারপতি সরকারি কৌঁসুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, অভিযোগের তদন্ত করে চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতে তার রিপোর্ট পেশ করতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন