ফাইল চিত্র।
হর্ন বাজালেই গাড়ির সামনে চলে আসবেন একদল পড়ুয়া। এমন ভাবে ঘিরে ফেলা হবে গাড়ি, বাস বা বাইকের চালককে যাতে কোনও ভাবেই পালাতে না পারেন তিনি। তার পরেই হেসে পড়ুয়ারা ব্যাগ থেকে লাল গোলাপ বার করে তুলে দেবেন চালকের হাতে। বিনীত অনুরোধ, ‘‘দয়া করে হর্ন বাজাবেন না।’’ সঙ্গে ক্যামেরায় বন্দি হবেন চালক।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা শব্দদূষণ-মুক্ত করতে কাল, বৃহস্পতিবার এ ভাবেই গাঁধীগিরি দেখিয়ে রাস্তায় নামতে চলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ। সংসদের সাধারণ সম্পাদক লগ্নজিতা চক্রবর্তী জানান, বহু দিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকাকে ‘নো-হর্ন জোন’ করা হয়েছে। কিন্তু ভ্রূক্ষেপ নেই কারও। কলুটোলা স্ট্রিট থেকে কলেজ স্কোয়ার— সর্বত্রই যেন হর্ন বাজানোই রীতি। তা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত। এ কাজে ট্র্যাফিক পুলিশ পাশে থাকবে বলে জানান তিনি। সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে পড়ুয়ারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার পাশে ‘নো-হর্ন’ সাইনবোর্ড থাকলেও কেউ পরোয়া করেন না। এ বার তাই হর্ন রুখতে গাঁধীগিরিই ভরসা।