জঞ্জালের লরি ক্যামেরাবন্দি

শহরের জঞ্জালবাহী গাড়িতে এ বার বসছে ক্যামেরা। পুরভবনে বসেই ওই গাড়িগুলির গতিবিধি নজরে রাখতেই এই ব্যবস্থা। জঞ্জালবাহী গাড়ির ট্রিপ চুরি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে পুরসভায়। এমনকী পুর-অডিটেও জানা গিয়েছে ‘ট্রিপ চুরি’ বাবদ বছরের পর বছর লক্ষ লক্ষ টাকা গচ্চা গিয়েছে পুর-প্রশাসনের। তবুও ‘অজ্ঞাত’ কারণে নীরব থেকেছে প্রশাসন।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৫ ০০:০১
Share:

শহরের জঞ্জালবাহী গাড়িতে এ বার বসছে ক্যামেরা। পুরভবনে বসেই ওই গাড়িগুলির গতিবিধি নজরে রাখতেই এই ব্যবস্থা। জঞ্জালবাহী গাড়ির ট্রিপ চুরি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে পুরসভায়। এমনকী পুর-অডিটেও জানা গিয়েছে ‘ট্রিপ চুরি’ বাবদ বছরের পর বছর লক্ষ লক্ষ টাকা গচ্চা গিয়েছে পুর-প্রশাসনের। তবুও ‘অজ্ঞাত’ কারণে নীরব থেকেছে প্রশাসন।

Advertisement

বিভাগীয় মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার জানান, পুরসভার নিজস্ব প্রায় শ’দুয়েক গাড়ি রয়েছে। সেগুলিতে জিপিআরএস সংবলিত মোবাইল ক্যামেরা বসানো হবে। যার সহায়তায় গাড়ির গতিবিধির সঙ্গে সেটি কত মাল বহন করছে, সেই মাল অন্য কোথাও যাচ্ছে কি না, তা-ও ধরা যাবে।

অত্যাধুনিক কমপ্যাক্টর যন্ত্র বসিয়ে শহরকে জঞ্জালমুক্ত করার কাজেও অনেকটা সাফল্য এসেছে বলে দাবি পুর-প্রশাসনের। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ নিয়ে পুরবোর্ডের প্রশংসা করেছেন। তার জন্য বছরে কয়েক কোটি টাকা সাশ্রয়ও হচ্ছে পুরসভার। এ বারের কলকাতা পুরভোটে তৃণমূল বোর্ডের সাফল্যের তালিকাতেও ছিল কলকাতাকে জঞ্জাল মুক্ত করার এই কৃতিত্বের কথা। গত বারের মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রতবাবুর হাতেই ফের দফতর তুলে দিয়েছেন মমতা।

Advertisement

নতুন বোর্ডের শুরুতেই কমপ্যাক্টর যন্ত্র বাড়ানোর পাশাপাশি লরির চুরি আটকাতেও তৎপর হচ্ছেন দেবব্রতবাবু। পুরসভা সূত্রের খবর, বর্তমানে দৈনিক প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন জঞ্জাল জমা হয়। লরিতে চাপিয়ে ওই জঞ্জাল ফেলা হয় ধাপার মাঠে। কমপ্যাক্টর যন্ত্র বসানোর আগে দৈনিক প্রায় সাড়ে চারশো লরি একাধিক ট্রিপ চালিয়ে ওই জঞ্জাল ধাপায় নিয়ে যেত। এর মধ্যে পুরসভার নিজস্ব লরি প্রায় দুশো। বাকি ২৫০টি লরি ভাড়া করতে হতো। ভাড়া করা লরির জন্য বছরে ১০ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয় হত পুরসভার।

দেবব্রতবাবু জানান, বর্তমানে শহরে ৪৩টি কমপ্যাক্টর যন্ত্র এবং ৩৮টি ভ্রাম্যমাণ কমপ্যাক্টর রয়েছে। কমপ্যাক্টরে জঞ্জালের ওজন কমে যাওয়ায় ধাপায় বয়ে নিয়ে যাওয়ার গাড়ির সংখ্যাও কমে গিয়েছে। জঞ্জাল অপসারণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, আগে যেখানে ৪৫০ লরি প্রয়োজন হতো, কমপ্যাক্টর বসায় এখন তা ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে। ভাড়া করা গাড়ির সংখ্যা কমে যাওয়ায় বছরে ৫ কোটি টাকা কম খরচ হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন