প্রতীকী ছবি।
টাকা-পয়সার ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলবে ছোটরা। ওটা বড়দের বিষয়। অধিকাংশ অভিভাবকের এই ভাবনায় বদল আনা দরকার বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভারতে ক্যাশলেস অর্থনীতি তৈরি করতে হলে ব্যবসা ও অর্থনীতি সম্পর্কে সব নাগরিকের ধারণা থাকা জরুরি। স্কুল স্তরেই যদি ব্যাঙ্ক, বিমা, সঞ্চয়, শেয়ার বাজার সম্পর্কে ধারণা তৈরি করা শুরু হলে ভবিষ্যতে ওয়াকিবহাল থাকবে নবীন প্রজন্ম।
শহরের বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষও মনে করছেন, স্কুল থেকেই আর্থিক বিষয়ে ধারণা তৈরির কাজ শুরু হোক। তাঁদের মতে, এই শিক্ষা সিলেবাসে না থাকলেও অসুবিধা নেই। গল্প, আলোচনার মাধ্যমে আর্থিক কাজকর্ম সহজে বোঝানো সম্ভব। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘এই বিষয়গুলির উপরে ভিত্তি করে স্কুলের তরফে বিতর্কসভা ও পড়ুয়াদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলে তা পড়ুয়াদের কাছে বোধগম্য হবে।’’
মডার্ন হাইস্কুল ফর গার্লস-এর অধিকর্তা দেবী কর বলেন, ‘‘এই সব বিষয়ে জ্ঞান থাকা দরকার। তাই সিলেবাসে না থাকলেও একাদশ শ্রেণি থেকেই শিক্ষকেরা পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়মিত এ নিয়ে আলোচনা করেন।’’ লা মার্টিনিয়ারের সচিব সুপ্রিয় ধর বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই অষ্টম শ্রেণি থেকে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ সব বিষয়ে অবহিত করা হয়। পড়ুয়াদের এই বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই জ্ঞান থাকা দরকার।’’
গল্পের বইয়ের মধ্যে যেমন স্কুলপড়ুয়ারা নৈতিক শিক্ষা পায়, তেমনই এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জানার জন্য বেশ কিছু বই প্রকাশ করেছে একটি বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থা। সাত বছরের ঊর্ধ্বে পড়ুয়াদের জন্যই মূলত প্রকাশিত হয়েছে বইগুলি। সংস্থার কর্ণধার নীতিন কামাতের কথায়, ‘‘যে কোনও বিষয়ের ভিত্তি মজবুত হওয়া সবচেয়ে জরুরি। ভারতীয় অর্থনীতি ক্যাশলেস হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। তাই শিশুদের আর্থিক কাজকর্ম সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন।’’ তবে রাজ্য সরকার ‘ধীরে চলো’ নীতিতেই বিশ্বাসী। পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, ‘‘দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের বাড়তি চাপ দেওয়া ঠিক হবে না। তবে উচ্চ মাধ্যমিকে অর্থনীতিতে এই বিষয়টি দেওয়া যায় কি না, আলোচনা করে দেখা হবে।’’