যাদবপুরের প্রবেশিকা নিয়ে মামলা, হবে তদন্ত

যাদবপুরের রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এ দিন জানান, খাতা দেখার ক্ষেত্রে কোনও পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল কি না, সেই বিষয়ে বাইরের কোনও বিশেষজ্ঞকে দিয়ে তদন্ত করানো হবে। তবে ভর্তি প্রক্রিয়ায় এর প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি রেজিস্ট্রারের। ইতিহাসের প্রবেশিকা পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন নিয়ে তদন্ত করা উচিত বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৮ ০২:৪৯
Share:

সংশোধিত মেধা-তালিকা প্রকাশের পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে ইতিহাসের প্রবেশিকা পরীক্ষার জট কাটছে না। ওই পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে কোনও রকম পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে কর্তৃপক্ষ সোমবার তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ দিনই ইতিহাসের প্রবেশিকা পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

Advertisement

যাদবপুরের রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এ দিন জানান, খাতা দেখার ক্ষেত্রে কোনও পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল কি না, সেই বিষয়ে বাইরের কোনও বিশেষজ্ঞকে দিয়ে তদন্ত করানো হবে। তবে ভর্তি প্রক্রিয়ায় এর প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি রেজিস্ট্রারের। ইতিহাসের প্রবেশিকা পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন নিয়ে তদন্ত করা উচিত বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেই।

যাদবপুরে ইতিহাস নিয়ে পড়তে চাওয়া ছাত্র রূপক চট্টোপাধ্যায় এ দিন হাইকোর্টে মামলা করেছেন। ওই মামলাটি গিয়েছে বিচারপতি অরিন্দম সিংহের এজলাসে। আজ, মঙ্গলবার সেটি শুনানির জন্য উঠতে পারে। ওই ছাত্রের আইনজীবী দ্যুতিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন জানান, তাঁর মক্কেল যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে যাদবপুরে ইতিহাসে অনার্স পড়ার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেন। প্রথম মেধা-তালিকা প্রকাশের পরে দেখা যায়, ১৬ নম্বরে তাঁর নাম রয়েছে। প্রবেশিকায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬০। পরে বিতর্কের জেরে সব আবেদনকারীর খাতা পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। তখন দেখা যায়, রূপকের নম্বর কমে হয়েছে ৫৪। নম্বর কমে যাওয়ায় তাঁর নাম তালিকার বাইরে চলে গিয়েছে। ঠাঁই হয়েছে ওয়েটিং লিস্টের পাঁচ নম্বরে।

Advertisement

ওই ছাত্রের আইনজীবী আরও জানান, মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল ‘ডেসক্রিপটিভ’ প্রশ্নের মাধ্যমে। সেখানে ‘মাল্টিপল চয়েস’ ছিল না। উত্তরপত্র পুনরায় মূল্যায়ন করে দেখার আদৌ কোনও যৌক্তিকতা রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে আবেদনে।

মামলা ও তদন্তের মধ্যেই আগের ঘোষণা অনুযায়ী এ দিন অবশ্য ইতিহাসের ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। ভর্তি নেওয়ার কাজ চলবে। অন্যদের মধ্যে ভর্তি হয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী গ্রন্থন সেনগুপ্ত।

রেজিস্ট্রার এ দিন জানান, এমটেক-এ প্রায় ৪৫ শতাংশ আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেগুলো পূরণের জন্য দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং হবে ২৩ এবং ২৪ অগস্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন