সুব্রত বক্সী।—ফাইল চিত্র।
সারদা মামলায় এবার জেরা করা হল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীকে। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ তিনি সল্টলেকে সিবিআই দফতরে পৌঁছন। প্রায় তিন ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে সুব্রত বলেন, “এ ভাবে সিবিআই দিয়ে তৃণমূলকে ভয় দেখানো যাবে না। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে তৃণমূলের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”
গত বৃহস্পতিবারই তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সুব্রত বক্সীকে তলব করে চিঠি পাঠায় সিবিআই। সেই সঙ্গে তলব করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অফিসে সচিবের পদে থাকা মানিক মজুমদারকেও।
সিবিআই সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মুখপত্রের তহবিল নিয়ে প্রশ্ন করার জন্যই এঁদের তলব করা হয়েছে। সিবিআই আধিকারিকদের দাবি, প্রায় আট বছর আগে মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবির দু’টি প্রদর্শনী হয়েছিল। সেই ছবি শহরের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং শিল্পপতিরা কিনেছিলেন।
আরও পড়ুন: কী করে মিটিং করব, ওঁদের বিরুদ্ধে তো ফৌজদারি মামলা! হাইকোর্টে বলল রাজ্য
আরও পড়ুন: ৩১ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অ্যাডিলেডে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় ভারতের
সেই ছবি বিক্রির টাকা জমা পড়েছিল তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রের তহবিলে। সিবিআই সূত্রের খবর, সেই সময় রোজভ্যালি এবং সারদা থেকে প্রায় তিরিশ লাখ টাকা ঢুকেছিল তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রের অ্যাকাউন্টে। এ ছাড়া ছবি বিক্রি বাবদ আরও টাকা ঢোকে ওই অ্যাকাউন্টেই। এ রকম প্রায় ১৫টি ছবি ইতিমধ্যেই শহরের কয়েক জন বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হাতে পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সিবিআই সূত্রের খবর, ওই লেনদেনের সময় দলীয় মুখপত্র পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁদেরকেই ডেকে পাঠানো হচ্ছে তখনকার হিসেব পরীক্ষার জন্য।