CBI

গরুপাচারের তদন্তে এবার সিবিআই তল্লাশি মানিকতলার নির্মাণ ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে

বৃহস্পতিবার মানিকতলা মেন রোডে একটি অভিজাত আবাসনের ১৪ তলা হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২০ ১৩:৩২
Share:

এই অভিজাত আবাসনেই হানা দেন সিবিআই কর্তারা। -নিজস্ব চিত্র।

গরু পাচারের তদন্তে নেমে এবার কলকাতার এক নির্মাণ ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাট-সহ ৪ জায়গায় তল্লাশি শুরু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। বৃহস্পতিবার মানিকতলা মেন রোডে একটি অভিজাত আবাসনের ১৪ তলা হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

Advertisement

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, গরু পাচারের টাকা বিভিন্ন ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, পাচারের টাকার সূত্র ধরেই উঠে এসেছে রাজন পোদ্দার নামে এক ব্যবসায়ীর নাম। তিনি সাতটি সংস্থার ডিরেক্টর। তার মধ্যে পূর্ব কলকাতার একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি রয়েছে। উত্তরবঙ্গের একটি সংস্থার নামও উঠে এসেছে তদন্তে।

সিবিআই আধিকারিকদের দাবি, গবাদি পশু বেআইনি ভাবে এ দেশ থেকে বাংলাদেশে পাচার করে যে বিপুল পরিমাণ মুনাফা পেয়েছে পাচার সিন্ডিকেটের পান্ডা এনামুল হক, তার সঙ্গে রাজনের ব্যবসায়িক যোগ পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন : রাজ্যে শাহ, আজ কর্মসূচি বাঁকুড়ায়

এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সিবিআই এনামুল হক, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এক কমান্ডান্ট, তাঁর ছেলে-সহ সামীন্ত রক্ষী বাহিনীর একাধিক আধিকারিক এবং শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর একাধিক পদস্থ আধিকারিক এনামুলের কাছ থেকে বিপুল অর্থ ঘুষ নিয়ে বেআইনি গবাদি পশু পাচারের কারবারে সহযোগিতা করেছেন।

আরও পড়ুন : বিহার ভোটে শরিকি সঙ্ঘাত, যোগীর সিএএ মন্তব্যের বিরোধিতায় নীতীশ

সেই তথ্যের ভিত্তিতে সতীশ কুমার নামে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এক কমান্ডান্টের সল্টলেকের বাড়িতেও তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। সিবিআই আধিারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সতীশের বাড়ি তল্লাশি করে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বিপুল অর্থের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন আত্মীয়ের নামে বহু স্থাবর সম্পত্তি কিনেছেন সতীশ। ঘুষের টাকা লগ্নি করেছেন বিভিন্ন সংস্থায়। তদন্তকারীদের পরিভাষায় ‘মানি ট্রেল’ অনুসরণ করে রাজন-সহ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীর হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যাঁদের মাধ্যমে ওই বিপুল অর্থ বাজারে লগ্নি করা হয়েছে।

তল্লাশি নিয়ে সিবিআইয়ের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন,‘‘তল্লাশি এখনও মাঝপথে। বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেই নথি খতিয়ে দেখে বলা সম্ভব ঠিক কী ভাবে এই ব্যবসায়ীরা পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement