Kolkata Fire Incident

খিদিরপুরে পুড়ে যাওয়া বাজার তৈরি করে দেবে পুরসভা, ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুড়ে যাওয়া বাজার নতুন করে তৈরি করে দেবে পুরসভা। তবে যত দিন না নতুন বাজার তৈরি হচ্ছে, তত দিন পাশের একটি জায়গায় দোকানদারেরা বসতে পারবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৫ ১৫:৪৭
Share:

খিদিরপুরের বাজার পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে গিয়েছে খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ বাজার। সোমবার সেই পুড়ে যাওয়া বাজার পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তার পরেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন মমতা। একই সঙ্গে জানান, ওই বাজার আবার নতুন করে তৈরি করে দেবে কলকাতা পুরসভা।

Advertisement

রবিবার মধ্যরাতে আগুনের গ্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয় খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ বাজারের অন্তত ১৩০০ দোকান। কিছু দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে, কিছু দোকান আংশিক। সব দোকানের ব্যবসায়ীদের জন্যই ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিধানসভা থেকে খিদিরপুরের ঘটনাস্থলে যান তিনি। বাজার ঘুরে দেখার পর মমতা জানান, অগ্নিকাণ্ডে যাঁদের দোকান আংশিক পুড়েছে তাঁদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আর যাঁদের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে তাঁদের প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করা হবে। তবে আর্থিক সাহায্যের আগে পুরসভার তরফে সমীক্ষা করা হবে। যত দিন পর্যন্ত না সমীক্ষা শেষ করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে, তত দিন ক্ষতিগ্রস্তদের সংসার চালাতে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা জানান, পুড়ে যাওয়া বাজার নতুন করে তৈরি করে দেবে পুরসভা। তবে যত দিন না নতুন বাজার তৈরি হচ্ছে, তত দিন পাশের একটি জায়গায় দোকানদারেরা বসতে পারবেন। নতুন বাজার তৈরি করতে ব্যবসায়ীদের কোনও টাকা দিতে হবে না বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

রবিবার রাত ১টার কিছু পরে খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ বাজারে আচমকা আগুন লেগে যায়। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়েরাই প্রথমে আগুন নেবানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, তা সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব ছিল না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় দমকলবাহিনী। বাড়তে থাকে একের পর এক দমকলের ইঞ্জিনের সংখ্যা। শেষ পর্যন্ত দমকলের ২০ ইঞ্জিনের চেষ্টায় খিদিরপুর বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, থানা এবং দমকলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু দমকল দেরিতে আসে। আগুন লাগার অন্তত দু’ঘণ্টা পরে তা নেবানোর কাজ শুরু হয়। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘‘একটা গাড়ি আসতে গেলেও তো কিছু সময় লাগে। ওয়াটগঞ্জ, গার্ডেনরিচ থেকে দমকলের গাড়ি এসেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement