Sexual Assault

শিশু নির্যাতন কাণ্ডে ধৃতদের দু’দিনের পুলিশি হেফাজত

পুলিশের তরফে যদিও অভিযুক্তদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। শুক্রবার রাতেই ‘পকসো’  আইনে গ্রেফতার করা অভিযুক্ত দুই শিক্ষক অভিষেক রায় এবং মহম্মদ মফিসউদ্দিনকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

জি ডি বিড়লা স্কুলে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ধৃত অভিযুক্তদের দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর পুলিশ আদালত। শনিবার সকালে ওই স্কুলের অভিযুক্ত দুই শারীরশিক্ষার শিক্ষককে আদালতে পেশ করা হয়।

Advertisement

পুলিশের তরফে যদিও অভিযুক্তদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। শুক্রবার রাতেই (প্রোটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) ‘পকসো’ আইনে গ্রেফতার করা অভিযুক্ত দুই শিক্ষক অভিষেক রায় এবং মহম্মদ মফিসউদ্দিনকে। তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৪ এবং ৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এ দিন আদালত জানায়, আলিপুরের বিশেষ আদালতে অভিযুক্তদের বিচার করা হবে। কারণ, হাই কোর্টের নির্দেশ রয়েছে ‘পকসো’ আইনে অভিযুক্তদের বিচার হবে আলিপুরের বিশেষ আদালতে। আলিপুর পুলিশ আদালত এই জাতীয় মামলার বিচারের জন্য সঠিক জায়গা নয়। হাই কোর্টের সেই নির্দেশ মতোই, মাঝের দু’দিন অর্থাৎ শনিবার এবং রবিবার তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত সূত্রে খবর, সোমবার আলিপুরের বিশেষ আদালতে ‘পকসো’ আইন অনুসারে দুই অভিযুক্তের শুনানি হবে। শনিবার শুনানির সময় আদালতে কক্ষেই ছিলেন শিশুটির বাবা এবং তাঁদের আইনজীবী।

আরও পড়ুন: স্কুলেই যৌন নির্যাতন, দুই শিক্ষককে চেনাল ছাত্রী, গ্রেফতার

Advertisement

অন্য দিকে, এ দিনও সুবিচারের দাবিতে দফায় দফায় জি ডি বিড়লা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। পাশাপাশি, নির্যাতিতা ওই শিশুর মা জানিয়েছেন, ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছে শিশুটি। সারা দিন খাওয়া দাওয়া করেনি সে। মাঝে মধ্যে আতঙ্কে কেঁদে উঠেছে বলেও জানিয়েছে তার মা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement