Coronavirus in Kolkata

কো-মর্বিডিটি নিয়েও সুস্থ হচ্ছে আক্রান্ত শিশুরা

চিকিৎসকদের মতে, আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকলে করোনা এবং অন্য রোগের মোকাবিলা সম্ভব, সকলের কাছে সেই বার্তা পৌঁছনো জরুরি।

Advertisement

সৌরভ দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২০ ০৩:২৭
Share:

প্রতীকী চিত্র।

চার মাসের শিশুটির জ্বর, র‌্যাশের পাশাপাশি গলার গ্রন্থি ফুলে উঠেছিল। কারণ খুঁজতে গিয়ে চিকিৎসকেরা দেখেন, কাওয়াসাকি রোগে আক্রান্ত সেই শিশু আবার করোনা সংক্রমিতও! কিংবা ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত এবং করোনা সংক্রমিত ১১ বছরের সেই বালিকা! এই ধরনের কো-মর্বিডিটির সঙ্গে কোভিড আক্রান্ত খুদেদের চিকিৎসায় ভরসা জোগাচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগ। চিকিৎসকদের মতে, আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকলে করোনা এবং অন্য রোগের মোকাবিলা সম্ভব, সকলের কাছে সেই বার্তা পৌঁছনো জরুরি।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগে শনিবার পর্যন্ত মোট রোগী ছিল ২৬ জন। তাদের মধ্যে ১৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। চিকিৎসাধীন রয়েছে ১০ জন। সদ্যোজাতদের ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব’-এ করোনা রোগী আছে ১০ জন। এমন ফলাফলে উৎসাহিত হচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, চার মাসের শিশুটিকে প্রথমে মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিজনেরা। কাওয়াসাকি রোগের পাশাপাশি শিশুর লালারসের নমুনা পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়লে ৯ মে তাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে দু’সপ্তাহ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে শিশুটি।

Advertisement

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত বালিকার ঘটনাটিও উল্লেখযোগ্য মনে করছেন চিকিৎসকেরা। মাথা যন্ত্রণা, বমির উপসর্গের সঙ্গে করোনা আক্রান্ত ওই বালিকাকে এসএসকেএম থেকে মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। করোনা হওয়ায় তার অস্ত্রোপচার করা যায়নি। এ দিকে, দ্রুত অস্ত্রোপচার জরুরি ছিল। দু’সপ্তাহের চিকিৎসার শেষে করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরে সে।

শিশুরোগ বিভাগের প্রধান মৌসুমী নন্দী জানাচ্ছেন, কোভিড শিশুদের সুস্থ করিয়ে বাড়ি ফেরানোয় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছেন বিভাগের চিকিৎসকেরাও। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতিটি শিশুর সময় মতো নমুনা সংগ্রহ ও শারীরিক অবস্থার নিয়মিত পর্যবেক্ষণে সজাগ সকলেই। করোনার সংক্রমণ যাতে বাচ্চাদের অন্য অঙ্গের ক্ষতি করতে না পারে, সে দিকেও নজর রাখতে হচ্ছে।’’

এত লড়াইয়ের মধ্যে অবশ্য আশঙ্কাজনক এক নন-করোনা খুদেকেও সুস্থ করে তুলেছে ওই বিভাগ। সপ্তাহখানেক আগে বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময়ে কোনও ভাবে ফাঁস লেগে যায় ইডেন হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা ন’বছরের বালকের। তিন দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পরে সুস্থ সেই বালক শুক্রবারই বাড়ি ফিরেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন