সিগারেটের খাপে ভরে তাকে দেওয়া হয়েছিল লঙ্কার গুঁড়ো। এজলাস থেকে কোর্ট লপআপে যাওয়ার পথে পুলিশকর্মীদের অসতর্কতার সুযোগে সেই লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়েই আলিপুর জেলা দায়রা আদালত চত্বর থেকে পালিয়েছিল ওই বন্দি। পলাতক বন্দি শেখ রজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, পূর্ব পরিকল্পনামাফিক সে দিন রজ্জাকের হাতে ওই সিগারেটের প্যাকেট গুঁজে দিয়েছিল তার এক আত্মীয়। সম্পর্কে ভাই, ওই আত্মীয়ের মোটরবাইকে চেপেই পালিয়েছিল রজ্জাক। ওই ব্যক্তির খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার সকালে রজ্জাককে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি থেকে গ্রেফতার করেন লালবাজারের ডাকাতি দমন শাখার অফিসারেরা। ২০১৫ সালে যাদবপুর থানা এলাকায় এক ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত রজ্জাক গত ১৬ অগস্ট আলিপুর জেলা দায়রা আদালত চত্বরে বিচারকের এজলাস থেকে কোর্ট লক-আপে যাওয়ার পথে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে পালায়।
পলাতক ওই বন্দিকে ফের গ্রেফতার করার পরে পুলিশের দাবি, আদালত চত্বর থেকে ওই ভাইয়ের বাইকে চেপে সোজা নোদাখালি পৌঁছয় রজ্জাক। সেখানে আত্মীয়দের বাড়িতে প্রথমে লুকিয়ে ছিল সে। পরে এক বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেই খবর পেয়ে যান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। বুধবার ওই বান্ধবীর বাড়ি থেকেই রজ্জাককে ফের পাকড়াও করেন তাঁরা।